অভিমান, প্রেম, অপ্রেম, কষ্ট এবং স্বপ্নের অসাধারণ সমন্বয় ছাত্র জীবন। সবচেয়ে মজার এবং সুন্দর ব্যাপার হলো, আমার এই লেখার প্রত্যেকটা চরিত্র এবং ঘটনা বাস্তব। ২০২১ সাল, ছবি আঁকায় কিছুটা বিরতিতে ফেইসবুকে হঠাৎ করেই ‘সোনালী বাকসো’ নাম দিয়ে স্মৃতিচারণ লিখতে আরম্ভ করলাম। এতটা সাড়া পাবো কস্মিনকালেও ভাবিনি। একদিন হুট করে স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী হাশেম খান স্যার ফোন করে বললেন, তুমি এটা বই করছো না কেন? এর চেয়ে উৎসাহ আর কি হতে পারে। তখন থেকেই ভাবছিলাম নতুন করে গুছিয়ে নিতে হবে। বইটি শুধুমাত্র স্মৃতিচারণ নয়, এতে আছে একটি মানুষকে সত্যিকারের মানুষ হতে কারা কতটা সাহায্য করে তার কথা। ছবি আঁকা ভালোবেসেও যারা লেখাপড়া করতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে আছে, তারা পাবে এর ভেতরের সুখ নির্যাস। চারুকলা নিয়ে মানুষের নানা ভ্রান্ত ধারণা সমাজকে অসুস্থ করে তুলেছে। আমার বিশ্বাস এই বইটি পড়ে মন থেকে মুছে যাবে অনেক কালো। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্ররা এই লেখাটি পড়ে নস্টালজিক হয়ে পড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। যারা পড়েনি তাদের একটু হলেও আফসোস হবে ঐ শাটল ট্রেনের গল্প পড়ে, আফসোস হবে ঝর্ণা আর পাহাড় ঘেরা ক্যাম্পাসের জন্য। শিক্ষক এবং ছাত্রদের নিয়ে যে একটা সত্যিকারের পরিবার গড়ে তোলা যায় এ তার প্রমাণ দেখে। আর এ যুগে আমাদের মতো বন্ধুত্ব কল্পনাতীত, এ আমি হলফ করে বলতে পারি। কেউ আমায় কখনো বলেনি বসন্তের রং-এর আলো কেমন। কেমন করে সে আলোয় অবগাহনে মেতে ওঠে শালিক। কেউ আমায় বলেনি রিনিক ঝিনিক আলাতা পায়ে কেমন করে উঠোন জুড়ে মাতাল হাওয়া বয়। তবু আমি বাসন্তী দুয়ার খুলে দাওয়ায় দাঁড়িয়ে থাকি একতারা হাতে।