১| গল্প শুরুর আগে নিজের মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করাতে এসে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে প্রাণ হারান রেহনুমা আক্তার রানু। পুলিশের ভাষায় প্রথমে "ওপেন অ্যান্ড শাট কেস" বলে মনে হলেও একসময় মামলার মোড় ঘুরে যায়, এবং তদন্তভার স্থানীয় পুলিশের হাত থেকে চলে যায় সদ্য ডিবিতে বদলি হওয়া সহকারী কমিশনার রায়হান সিদ্দিকীর হাতে। তার তদন্তে বেরিয়ে আসে এক জঘন্য সত্য! ২। একটা গল্প শুনবেন? ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে প্রায় তিন বছর কাটিয়ে ফেলার পর এসি রায়হান সিদ্দিকীর হাতে আসে বিচিত্র এক হত্যা রহস্য! এরকম মামলার সম্মুখীন আগে কখনোই হয় নি সে। মামলাটি এমন- একজন সিরিয়াল কিলার প্রত্যেক বছরের বিভিন্ন তারিখে ও সময়ে পাঁচজন আলাদা আলাদা মানুষকে বিভিন্ন জায়গা থেকে অপহরণ করে, এবং তার পরের বছর ঠিক জানুয়ারির চৌদ্দ তারিখে পাঁচজনকে একসঙ্গে হত্যা করে তাদের সবার মৃতদেহ কোনো এক জায়গায় একসঙ্গে ফেলে দিয়ে যায়। তাদের সারা শরীরে থাকে অগণিত ক্ষতচিহ্ন, একটি বিশেষ অঙ্গ থাকে সম্পূর্ণ থেঁতলানো এবং দগদগে ঘা বিশিষ্ট, আর তাদের প্রত্যেকের গায়েই খোদাই করা থাকে অদ্ভূত কিছু চিহ্ন। অদ্ভূত এই মামলার তদন্ত চলতে চলতেই হঠাৎ একদিন একটা ফোনকল আসে এসি রায়হান সিদ্দিকীর কাছে। কলদাতা গুরুগম্ভীর স্বরে প্রশ্ন করে, "একটা গল্প শুনবেন?" ৩| যে গল্পের শেষ নেই অদ্ভূত সেই সিরিয়াল কিলিংয়ের মামলার নথি বন্ধ হয়ে যাওয়ার মাস কয়েকের মধ্যেই নতুন একটা মামলার তদন্তভার ন্যাস্ত হয় রায়হান সিদ্দিকীর ওপর। লেখিকা শৈলী আফসানা এবং সাংবাদিক তাশিক কবিরের হত্যা রহস্যের কিনারা করতে গিয়ে তার সামনে চলে আসে এক ক্ষমতালোভী দানবের আসল রূপ। সেই কদর্য রূপটাকে গোটা দেশের মানুষের সামনে আনতে গিয়ে জীবনে প্রথমবারের মতো আইন ভঙ্গ করে এসি রায়হান সিদ্দিকী! ৪| গল্পটা অসুর বধের গল্পটা কার? গল্পটা কীসের? গল্পটা কি কোনো ক্ষমতালোভী রাক্ষসের? নাকি নিজের বিকৃত চাহিদা পূরণ করতে যেকোনো পর্যায়ে নামতে পারা কোনো নরপিশাচের? নাকি নিজের সব হারিয়ে উন্মাদ হয়ে ওঠা কারো? নাকি এমন কারো, যে হারাতে ভয় পায়? নাকি গল্পটা অসুর বধের?
পুরো নাম দেওয়ান তানভীর আহমেদ সৃজন। জন্ম ১৯৯৪ সালের ২১শে সেপ্টেম্বর ঢাকায়। বেড়ে ওঠা শরীয়তপুর জেলার একটি মফস্বল শহরে। লেখালেখি করেন স্কুলজীবন থেকেই। তার লেখা প্রথম ছোটগল্প "দৈনিক ভূত সমাচার" প্রকাশিত হয় প্রথম আলোর সাপ্তাহিক ক্রোরপত্র রস+আলো তে ২০০৯ সালে। এর পরের বছর ২০১০ সালে তার লেখা রম্যগল্প "মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও স্পেসশিপ" ছাপা হয় রস+আলোর একটি পাঠক সংখ্যায়। তারপর ২০১২ সাল পর্যন্ত এই লেখকের লেখা আরো বেশ কিছু রম্যগল্প প্রকাশিত হয় বিভিন্ন পত্রিকায়। ২০১২-২০১৩ সাল থেকে তিনি দেওয়ান তানভীর আহমেদ নামে ব্লগিং শুরু করেন এবং এখনও বিভিন্ন ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি করে যাচ্ছেন। তার উল্লেখযোগ্য কিছু লেখা- ছোটগল্প: "দৈনিক ভূত সমাচার"(রম্য), "মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও স্পেসশিপ"(রম্য), "যুদ্ধ আজও শেষ হয় নি"(মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক), "ছমিরন বিবির বিচার"(মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক), "আশ্চর্য প্রদীপ"(থ্রিলার), "ক্রিটন"(সায়েন্স ফিকশন), "অশরীরী"(হরর/রোমান্টিক); কবিতা: "গেরিলা ১৯৭১", "শাহবাগের সেই নষ্ট ছেলে", "ভুলে যাও একাত্তর", "আমি জানি না", "বাস্তবতা"; প্রবন্ধ: ”হীরক রাজার দেশে-আপগ্রেডেড”, ”পাকিস্তানের বর্বরতা ও ভূলুণ্ঠিত মানবতা”, "শিখণ্ডী কথা", "হাইপেশিয়া-একজন বিপ্লবী নারী বিজ্ঞানী", "আপেক্ষিকতা তত্ত্ব", "পদার্থ ও প্রতি-পদার্থ এবং রহস্যময় পদার্থবিজ্ঞান" ইত্যাদি। এখন পর্যন্ত তার প্রকাশিত বই: "রু"(সায়েন্স ফিকশন), "প্রজেক্ট পাই"(সায়েন্স ফিকশন).... লেখক তানভীর আহমেদ সৃজন বর্তমানে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করছেন।