সংকট সমাধানে কূটনীতির পথই সর্বোত্তমপন্থা। বিশ্বের বড় বড় সংকট ও সমস্যা যুদ্ধের মাধ্যমে নয়, কূটনীতির মাধ্যমে শুভ ফল পেয়েছে। যুদ্ধ দূরত্ব বাড়ায়, কূটনীতি দূরত্ব কমায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে বৃহৎ শক্তিগুলো অনেকক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান কূটনীতির বদলে অস্ত্রের মাধ্যমে করতে চাইছে। তাই বিশ্বের নানাপ্রান্তে যুদ্ধের সাইরেন বাজছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ তার প্রমাণ। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শেষ না হতে হতেই হামাস-ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ইউরোপের পর এবার মধ্যপ্রাচ্য উত্তপ্ত হয়েছে। উপর্যুক্ত দুইটি ঘটনার শুরু কূটনৈতিক চালের পরিপ্রেক্ষিতে হলেও কটূনৈতিক সমাধান খোঁজার বদলে পক্ষ-বিপক্ষ উভয়েই যুদ্ধের ময়দানে লড়ছে। যদিও শেষÍ তাদের কূটনীতিতে ফিরতে হবে। কারণ যুদ্ধের ময়দানে নয়, কূটনীতির রাজনীতিতেই উদ্ভূত সমস্যার সমাধান রয়েছে। রাশিয়া ইউক্রেনে ও হামাস ইসরায়েলে প্রতিপক্ষের কূটনৈতিক সফলতাকে বানচাল করতে যুদ্ধে জড়ায়। ইউক্রেনের ন্যাটোর অন্তর্ভূক্তি ঠেকাতে রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে। একইভাবে ইসরায়েল ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা রোধ করাই হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের প্রধান কারণ ছিল। ইউক্রেন ন্যাটোভুক্ত দেশে পরিণত হলে রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করত এমন অভিযোগেই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে। অন্যদিকে প্রকাশ্য হামাস স্বীকার নাকরলেও এই দাবি করা যায় যে, ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্কের উন্নতি হলে, সৌদি আরবসহ তার বলয়ের মুসলিম রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলকে স্বীকৃতি প্রদান করলে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসরায়েলের ওপর ওই অর্থেই আর কোনো আন্তর্জাতিক চাপ থাকত না।