‘প্রহসনের এক রাত্তির’ সমকালীন কথনমালার বই। এই সমকালে অতীত নিয়ে কথা আছে, ছোট-বড় ঘটনার বিশদ রূপও আছে, জোর করে ভুলে থাকতে চাওয়ার বিষয়ও আছে। সাংস্কৃতিক আবহে বেড়ে ওঠা একটি রাষ্ট্র ধীরে ধীরে সংস্কৃতি বিমুখ হয়ে যাচ্ছে, আজ জোরালো সাংস্কৃতিক আন্দোলনের দেখা মেলে না। কেন হচ্ছে এমন? অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা আজ বড় পণ্য, শিক্ষা থেকে পোশাক সব জায়গায় সাম্প্রদায়িকতা। এমন কি হওয়ার কথা ছিল? বেড়ে ওঠা তারুণ্যের সংকট যেন আমাদের অচেনা, আমরা যেন তাদের ভুলে থাকতে চাই। তবে কি তরুণরা অবহেলিত? এক রাতে শিক্ষাক্রম হয়ে যায় পরিবর্তিত, পাঠ্যপুস্তক যেন যেমন খুশি তেমন আবদার মেটানোর জায়গা। তবে শিশুরা কী শিখবে? প্রশ্ন করলেও উত্তর কি মিলছে? উত্তর জানা জরুরি, জানানো জরুরি। ‘প্রহসনের এক রাত্তির’-এ সেই অজানা উত্তরের সন্নিবেশ ঘটানো হয়েছে। আমি সমাজ পরিবর্তনের জন্য লিখি। লিখে আনন্দ পাই, তাই লিখি। ‘লিখে কী হবে?’ এই মর্মবাণী আমি বিশ্বাস করি না। লিখি দেখেই আপনারা জানেন। জানেন দেখেই আপনারা ভাবেন। আমার কাজ আপনাদের চলমান ভাবনা থামিয়ে দেওয়া। আমি যা বলতে চাইছি তা শোনানো। আমি সমাজ পরিবর্তনের কথা বলি। কারণ সমাজকে যদি সন্তানের মতো দেখি তবে তা আমাদেরই লালন-পালন এবং পরিবর্তন করতে হবে। কখনো মাঠের জন্য আহাজারি করে, কখনো শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন চাই বলে চিৎকার করে, কখনো সাম্প্রদায়িক দাবানল বন্ধ করে, কখনো তারুণ্যের সংকটের কথা বলে সেই পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। মূল বিষয় হলো, আমাদের দেশে যে সংকট চলমান তার সমাধান সম্ভব। কীভাবে? সেই গল্প বলার চেষ্টা করেছি। আমি গল্পকথক, সংকটেও গল্প বলি, কষ্টেও গল্প বলি, আনন্দেও গল্প বলি। তবে সংকটের পাশাপাশি সমাধানেরও গল্প বলি। ‘এই শহর সুবোধদের’, ‘আরোপিত এই নগরে’, ‘অর্বাচীনের আহ্নিক’-এর পর এটি সমকালীন কথনমালার নতুন সংযোজন।
বিনয় দত্ত জন্ম: ২০ ফেব্রুয়ারি। নন্দনকানন, চট্টগ্রাম। বাবা অনিমেষ চন্দ্র দত্ত ও মা মিনু দাশ। শিক্ষা: স্নাতকোত্তর, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা। লেখালেখির সূত্রপাত ছেলেবেলাতেই। লেখালেখি: গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নাটক, চিত্রনাট্য, মুক্তগদ্য। সমসাময়িক বিষয়ে জাতীয় দৈনিক পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও ম্যাগাজিনে লেখালেখি করেন। গল্পগ্রন্থ: ‘চিলতে মেঘ ও কুহুকেকার গল্প’, [চৈতন্য, ২০১৭] উপন্যাস: ‘অমৃতায়ন’, [পুথিনিলয়, ২০১৮] সমকালীন কথনমালা: ‘এই শহর সুবোধদের’, [পুথিনিলয়, ২০১৯] সমকালীন কথনমালা: ‘আরোপিত এই নগরে’, [পুথিনিলয়, ২০২০] পেশা: গবেষণা ও সাংবাদিকতা। পরিচয়: সহজ গল্পের ফেরিওয়ালা। স্বীকৃতি: ‘দিগন্তধারা সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮’ “অমৃতায়ন” উপন্যাসের জন্য। ‘আবুল মনসুর আহমদ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা পুরস্কার ২০২০’এ প্রথম স্থান অর্জন