সূচনা রোমের একজন বিখ্যাত সম্রাটের ব্যক্তিগত ডায়েরি, একজন বিখ্যাত গীতিকারের ব্যক্তিগত চিঠি, সবচেয়ে বিজ্ঞজন, একজন সাবেক দাস এবং পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র থেকে পলায়নকারী; প্রভাবশালী শিক্ষা গুরুতে পরিণত হয়। প্রাচীন সমস্ত ডকুমেন্টগুলোর মধ্যে দুই হাজারেরও বেশি বছর অতিবাহিত হওয়ার পরেও এমন অবিশ্বাস্য দলিলগুলো এখনও পৃথিবীতে টিকে আছে। এগুলো কী প্রকাশ করছে? এমন প্রাচীন দলিল এবং অস্পষ্ট পাতাগুলোর মধ্যে সত্যিকার অর্থেই কি এমন কিছু রয়েছে যেগুলো আমাদের আধুনিক জীবনের সাথে প্রাসঙ্গিক হতে পারে? এর উত্তর হচ্ছে হ্যাঁ। এমন প্রাচীন দলিলগুলোর মধ্যে পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রজ্ঞাময় বিষয়গুলো ধারণ করা হয়েছে। এমন দলিলগুলো সমন্বিত ভাবে স্টোইসিজম (জেনোর মতবাদ) মতবাদের সূচনা ঘটিয়েছে। এটি একটি প্রাচীন পশ্চিমা সভ্যতা যা অনেক জনপ্রিয় একটি মতাদর্শ ছিল এবং এই মতাদর্শ মূলত সমাজের অত্যন্ত ধনী এবং প্রভাবশালী লোকেরা জীবনের সুখ-শান্তি অর্জনের জন্য অনুসরণ করতো। কিন্তু শতাব্দীর বিবর্তনের মাধ্যমে চিন্তাধারার এমন পন্থা মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। শুধুমাত্র কিছু বিজ্ঞজন ব্যতীত অনেকেরই এই মতাদর্শ সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েছে। কার্যত এই মতাদর্শকে ইংরেজি শব্দে চয়ন করার কোনো প্রতিশব্দ না। অধিকাংশ মানুষই মনে করে এটি মূলত আবেগহীন অ্যাকশন অরিয়েন্টেড, এক ধরনের প্যারাডক্স; যেখানে শুধুমাত্র ফিলোসফিগত মতাদর্শ অনেকটা নার্ভাস, বিরক্তিকর সেখানে প্রতীয়মান হয় যে এমন জ্ঞান প্রত্যহ দিবসের প্রয়োজনীয়তার অংশের হতে পারে; তাছাড়া যে কোনো মানুষই সত্যিকার অর্থে এমন মতাদর্শ সম্পর্কে জানার পর বিস্তারিত জানার আগ্রহ বোধ করবে। হতাশাজনক বিষয় হলো, বিখ্যাত দার্শনিক Instant thunder এমন মতাদর্শকে কেবলমাত্র এমন জীবনের পয়েন্ট হিসেবে উল্লেখ করেছেন যেগুলো আমরা আমাদের যৌক্তিক পঞ্চ ইন্দ্রিয় প্রয়োগ করে অর্জন করতে পারি। এই বইয়ের মধ্যে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এমন মতাদর্শকে আমাদের জীবন নিয়ন্ত্রণে অধ্যবসায়, প্রজ্ঞা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে সঠিক ও বিস্তৃত পরিসরে বর্ণনা করা। এটি এমন মতাদর্শ যা কোনো ব্যক্তি মহৎ জীবন ধারণের জন্য অনুসরণ করতে পারেন কিন্তু কোনো একাডেমিক অধ্যায়নের জন্য নয়। অবশ্য, ইতিহাসের অনেক দার্শনিকই এই মতাদর্শের সঠিক অর্থ বুঝতে পারেননি।