'তুমি তাকালে আমি গুছিয়ে নিই সম্ভ্রম।/ তোমার অগোছালো চোখ উদ্ভ্রান্ত হাওয়ার মতো এলো,/পাখির বাসার চোখে শিকারির ছায়া ফেলে।' আলতো করে একটু হাওয়া দোল দিয়ে যায়। হয়তো এরকমই কবিতা হয়ে ওঠে। দীর্ঘ স্বপ্ন পতনের কেন্দ্রে এসে এই কবিতা জ্যোতি ছড়িয়ে যায়। প্রিয়াঙ্কা বড়ুয়া মলি কবিতার শিশিরে সৃষ্টির বন্দনা নিয়ে মুক্তি খুঁজেছেন। কবিতাঘোর এমনই হয়। বন্দনা, আহ্বান, আশংকা, মায়া, প্রেম চর্চিত হয়। কালের কাছে রেখে যাওয়া কিছু কথা প্রতিদিনকার মতো রোজনামচা হয়ে ধরা দেয়। এই তো জীবনের ওড়াউড়ি। আলো-ঝরঝর বিপুল আনন্দ। কখনো অভিমান, একখণ্ড অনুরাগ নিমিষে নিয়ে যায় ভোরের আকাশে। কবিতায় কবির গোপন সঞ্চার প্রকৃতি ও পাঠককে ওম দেবে। ।। প্রিয়াংকা বড়ুয়া মলি জন্ম: ১২ ডিসেম্বর, ঢাকা। শৈশব-কৈশোর কেটেছে কমলাপুর ধর্মরাজিক বৌদ্ধ বিহারের পাশে, ঢাকা। শিক্ষা: এম এ (বাংলা), বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ অ্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়। হলিক্রস কলেজ থেকে এইচ.এস.সি। এছাড়া ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তন থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত বিষয়ে ছয় বছরের শিক্ষাকোর্স সম্পন্ন করেন। কর্মজীবন: কিছুকাল আব্বাস উদ্দীন সঙ্গীত একাডেমী এবং শ্রদ্ধেয় স্বর্গীয় সুধীন দাশ এর অগ্নিবীণা সঙ্গীত একাডেমিতে বেশ কয়েক বছর শিক্ষকতা করেন। বাবার প্রেরণাতে লেখালেখি শুরু করা। মায়ের প্রেরণায় গান করা। বাসায় সমসময় সুন্দর একটি সাহিত্য-সঙ্গীত ধারার বাতাবরণ ছিল। বাবার হাত ধরে প্রথম শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া, মায়ের হাত ধরে বাংলা একাডেমীর বইমেলা, ছায়ানট প্রাঙ্গণ, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে আসা যাওয়া। মূলত বাবা-মায়ের দেশপ্রেম সচেতনতা, সাহিত্যানুরাগী, খুব নিবিড়ভাবে প্রভাব ফেলে। বাবা চলচ্চিত্রাঙ্গনের জড়িত ছিলেন, কবিতা-উপন্যাস লিখেছেন। মা গান করতেন, বই পড়তে ভালোবাসতেন। তাঁদের অনুপ্রেরণায় সংস্কৃতিমনষ্ক হয়ে ওঠেন প্রিয়াংকা বড়ুয়া মলি।