চারপাশ যেন থমথমে। হঠাৎ স্নিগ্ধ নিরব পরিবেশে কামিনী ফুলের সুগন্ধ বাতাসে ভেসে এলো। আশপাশটা যেন জাদুকরি ফুলের সৌরভে সুরভিত হয়ে গেল। ফুলের মোহনীয় সৌরভে মৌ মৌ করছে রাতে এই প্রকৃতি। চাঁদনি রাত তারাভরা আকাশ। হবলু যেন বাতাসের মৃদু স্বরে কল্পলোকে হারিয়ে গেলো। নির্জন পথের ওপাশ থেকে কে যেন ডাকছে তৃষ্ণার্ত মনের আকুলতা নিয়ে। হবলুর উদাসীন ব্যাকুল মনকে যেন শীতের শুষ্কতায় লোশন লেপন করে দিচ্ছে। যতই পা বাড়াচ্ছে ততই যেন কামিনী ফুলের সুবাস তার স্তব্ধ হৃদয়কে ভালোবাসার রঙে রাঙিয়ে দিচ্ছে। যেন মোহমায়ার আবহে তাকে আহ্বান করছে কোনো এক সুবাসিনী সুহাসিনী রমণী। তৃষ্ণার্ত দেহ এগিয়ে চলছে-- তার হাতে হাত রেখে চোখে চোখ রেখে এই চাঁদনি পশর উপভোগ করার জন্য। মনে হচ্ছে কোনো এক নির্জন স্থানে সমর্পন করা হবে চির সজিব ভালোবাসা। আর সেই ভালোবাসার উচ্চলতায় দূর হবে হৃদয়ের ক্ষত-বিক্ষত হওয়া তৃষ্ণার্থ যত অভিযোগ। সুবাস ঘনীভূত হচ্ছে মনে হয় কামিনী বৃক্ষের খুব কাছাকাছি আসা হয়ে গেছে। এখানেই অপেক্ষা করছে সেই মনোহরিনী। যার ব্যাকুলতা হৃদয়কে নাড়া দিয়েছে। প্রাণে লেগেছে দোলা। যা ভাবনা ঠিক যেন তাই। সুবাসিত এই বৃক্ষটি চাঁদের আলোয় সুপ্ত ভালোবাসার ছাতা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আর গাছের আড়ালেই লুকিয়ে আছে সেই কাক্সিক্ষত মনোবাসনার মনোহরিণী। ঝিঝি পোকার শব্দ হঠাৎ থেমে গেছে। নেই কোনো শিয়ালের ডাক। একেবারে সুনসান নিরবতা শুধু ঝিরিঝিরি বাতাসে কামিনী পল্লবের মড় মড় শব্দ। এ যেন বাসরের নিরবতায় সানাইয়ের সুর। আবেগি হৃদয় ডেকে বললো তুমি কোথায়? হাত নাড়ানো চুড়ির শব্দ অতঃপর প্রতিধ্বনির জাদুময় হাসি দিয়ে বললো এইতো আমি বৃক্ষের ওপাশে। রিপুর তাড়নায় পা বাড়ালো হবলু সুহাসিনীর সামনে সোজাসুজি দাঁড়াবে বলে। কিন্তু...