প্রত্যেক কবি একজন দার্শনিক। একজন কবির প্রত্যেক কবিতায় তার মনস্তাত্ত্বিক জগতের দর্শন ফুটে ওঠে। কবিতা একজন কবির অন্তরের বিচ্ছুরিত আলোর স্ফুলিঙ্গ। একজন কবির প্রত্যেকটি কাব্যগ্রন্থ তাঁর কাছে সন্তানের মতো। কবির লেখা কবিতাগুচ্ছকে কাব্যগ্রন্থে রূপান্তর করার জন্য সন্তানের মতোই কবিতাকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে হয়, লালন করতে হয়। 'নোঙরবিহীন ভালোবাসা' আমার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। বাংলাদেশের খ্যাতনামা প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান 'মেঘদূত প্রকাশন' থেকে গ্রন্থটি প্রকাশিত হচ্ছে। 'নোঙরবিহীন ভালোবাসা' প্রকাশ করতে পারার জন্য প্রথমেই মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি অসীম শুকরিয়া জানাচ্ছি। কারণ কারণ সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত ঐশ্বরিক ক্ষমতা ছাড়া কবিতা লেখা সম্ভব নয়। 'নোঙরবিহীন ভালোবাসা'-এর প্রকাশ আমার কাছে সন্তান প্রাপ্তির মতোই আনন্দদায়ক। ছোটবেলা থেকে প্রকৃতির সান্নিধ্যে বড় হয়েছি বলে আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'কুয়াশামাখা ভোরে' এর মতোই এই কাব্যগ্রন্থের অনেক কবিতায় বাংলার গ্রামীণ প্রকৃতি, ষড়ঋতুর রূপ প্রতিভাত হয়েছে। এই কাব্যগ্রন্থের কবিতায় মানব প্রেম ও দেশপ্রেম যেমন আছে, তেমনি আছে সমাজের বিভিন্ন অসঙ্গতি-উত্তোরণের পথ এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য। আশা করি কবিতাগুলো পাঠকের ভালো লাগবে। আমার কবিতার প্রতি শ্রদ্ধাভাজন অগ্রজ, ব্যাচমেট ও অনুজ সহকর্মীবৃন্দ, সহপাঠী বন্ধু ও আত্মীয়-স্বজনসহ সকল মহলের পাঠকের ভালোবাসা আমার কাব্যগ্রন্থের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বলে মনে করি। আমি আমার অকৃত্রিম পাঠকবৃন্দের প্রতি অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই