হাবিবের ডাক শুনে ঘরের ভেতর ঢুকে সাগর। বিছানায় শুয়ে তার দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে হাবিব। সাগর মাথা নিচু করে ফেলে। এই দৃষ্টির কারন সে জানে। তাকে দূর থেকে ভবনের দিকে নজর রাখতে বলা হয়েছিলো। কিন্তু ভবনের কাছাকাছি এসে তার অবচেতন মন বারবার নিপাকে দেখতে চাইছিলো। নিপার কান্নারত মুখ, বদলে যাওয়া রুপ পুরোটাই সাগরের মস্তিষ্কে জায়গা করে নিয়েছে। সাগরের মনে প্রশ্ন জাগে, পুতুলের মতো মেয়েটাকে কেনো পুতুলের মতো সাজিয়ে রাখা হয়নি? কেনো তার স্থান এই নরকখানায়? তারপরই খেয়াল হয় সে ক্রমশ তৃষ্ণার্ত হয়ে উঠছে নিপা নামের মেয়েটার প্রতি। নিজেকে দমিয়ে রাখা দ্বায় হয়ে গেলে অন্য একজনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে সকাল না হতেই ঢুকে যায় মহুয়া ভবনের অন্দরে। মহুয়া ভবনের দরজা দিন রাত অতিথিদের জন্য খোলা থাকে। যখন যার ইচ্ছা আসছে যখন ইচ্ছা বেরিয়ে যাচ্ছে। এখানে প্রাইভেসি বলতে কোন শব্দ নেই। ছেলে হোক, মেয়ে হোক তাদের যে একটা প্রাইভেসি প্রয়োজন তা এরা জানে না। একটা দিক খেয়াল করে সাগর। এখানকার মেয়েরা ঘরের বাইরে অন্য পল্লীর মেয়েদের মতো খোলামেলা থাকে না। এরা ভদ্র সমাজে চলাচলে নিজেকে মানিয়ে নিতে জানে। মালা সামনে আছে বলে হাবিব চুপ থাকে। মালা আয়াত শেষ করে উঠে দাঁড়ায়। সাগর জিজ্ঞেস করে, ''কেমন আছেন মালাদি ?"