ফেসবুকে দেখি চাঁদ। কবিতার বই। এই কাব্যগ্রন্থের রচয়িতা কবি রাশেদ মেহেদী। এটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ। ফেসবুকের বাংলা করেছি আমি মুখপঞ্জি। মোবাইল ফোনের বাংলা করেছিলাম মুঠোফোন। ইন্টারনেটের বাংলা করেছিলাম অন্তর্জাল। মুঠোফোন এবং অন্তর্জাল পরিচিতি লাভ করলেও মুখপঞ্জি নামটা ফেসবুকের বাংলা হিসেবে গৃহীত হয়নি। ফেসবুক কথাটা বাংলায় বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। চেয়ার-টেবিলের মতোই ফেসবুক শব্দটাও বাংলা অভিধানে স্থান করে নেবে বলেই মনে হয়। কবি রাশেদ মেহেদী তার প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ‘ফেসবুক’ শব্দটিকে ব্যবহার করে আমি মনে করি ভালোই করেছেন। প্রযুক্তিবান্ধব কবি হিসেবে আমার কিছু সুখ্যাতি আছে। আমি গত দুই দশক ধরে ফেসবুকে আমার সব লেখাই লিখি। পড়িও। দেখিও; কিন্তু আমি ফেসবুকে খুব বিশেষ করে চাঁদ দেখিনি কখনো। কবি রাশেদ মেহেদীকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই, ফেসবুকে চাঁদকে বিশেষভাবে দেখার জন্য। ফেসবুকে দেখা চাঁদ, আর আকাশে দেখা চাঁদ যে এক নয়, রাশেদ মেহেদী আমাদের সেকথা বিশেষভাবে স্মরণ করিয়ে দিয়ে একই সঙ্গে ফেসবুক এবং চাঁদের একটা আলাদা জগৎ নির্মাণ করেছেন। অনিবার্যভাবেই সেই নবজগৎ প্রেমের জগৎকেই উদ্ভাসিত করে। কাব্যের শিল্পবোধকে করে প্রজ¦লিত। কবিকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই। বিশ্বাস করি, কবির এই কাব্যগ্রন্থটি পাঠকপ্রিয়তা লাভ করবে। নিত্যশুভার্থী নির্মলেন্দু গুণ ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখি করেন। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তার ছোটগল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রথম উপন্যাস 'গনি আদমের ক্যাম্পাস'। ১৯৯৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেক্ষাপটে রচিত এই উপন্যাস ২০১২ সালে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই পাঠক মহলে সাড়া ফেলেছে। তার আরও দুটি মুদ্রিত উপন্যাস 'রাজপথের মহাকাব্য' এবং 'কংক্রিটের কালো বিড়াল'। এ ছাড়া অনলাইন সাহিত্য ম্যাগাজিন 'litbangla.com' তার লেখা বাংলা ভাষায় প্রথম সাইবার পাঙ্ক থ্রিলার 'থ্রি চিয়ার্স মেটাভার্স' প্রকাশিত হয়েছে। 'ফেসবুকে দেখি চাঁদ' তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। পেশায় সাংবাদিক রাশেদ মেহেদী প্রায় ২৭ বছর ধরে দৈনিক সংবাদ, ভোরের কাগজ, জনকণ্ঠ, একুশে টেলিভিশন ও সমকালে সাফল্যের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দেশের প্রথম বাইলিঙ্গুয়াল (বাংলা ও ইংরেজি) ভিউজ পোর্টাল 'Views Bangladesh'-এর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। বর্তমানে তিনি এ দায়িত্বেই রয়েছেন। ব্যক্তিজীবনে বিবাহিত। তার স্ত্রী রীতা নাহারও সাংবাদিকতায় যুক্ত। তাদের একমাত্র সন্তান রিদম। আনান ফারাবি।