কবিতা কোনো কালখণ্ডে বন্দি নয়। নদীর স্রোতের মতো কবিতা বহমান। এরপরও সময়ের এক একটি খণ্ডে কবিতার রূপ ও বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করতেই দশকভিত্তিক কালবিভাজন করা হয়। এর সুবিধা হচ্ছে, কবিতার ধারাবাহিক যাত্রাটি সহজে বোঝা যায়। কখন, কীভাবে চলমান ধারা থেকে কবিতা ভিন্ন আঙ্গিকে বাঁক পরিবর্তন করলো, সেই সূত্রটিও এর মধ্য দিয়ে আবিষ্কার করা সম্ভব হয়। বিগত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকটি ছিল বৈশি^ক ও দেশীয় প্রেক্ষাপটে নানামাত্রিক ভাঙচুরের সময়। এই কালখণ্ডে একঝাঁক তরুণ লিখতে শুরু করেন কবিতা। ২৪ বছর পেরিয়ে তাদের কবিতার রূপ ও বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করতে উদ্যোগী হয়েছেন নব্বই-উত্তর কয়েকজন কবি ও কথাসাহিত্যিক। বাংলা কবিতার ধারাবাহিকতায় নব্বইয়ের কবিতা কি স্বকীয় কাব্যভাষা নির্মাণ করতে পেরেছে? আমাদের ভূরাজনৈতিক সমাজজীবনের করুণ আর্তনাদ নব্বইয়ের কবিতায় কিভাবে চিত্রিত হয়েছে? সময়ের মর্মভেদী উৎকর্ষ চেতনায় নব্বইয়ের কবিরা কি কেবল নিরীক্ষাই করেছেন, নাকি উজ্জীবিত প্রাণের ধ্বনিময়তাও ছড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন কবিতার শরীরে। এই সঙ্কলনে অগ্রজদের সফলতা ও ব্যর্থতার শিল্পসীমানা নির্ধারণ করার চেষ্টা করেছেন তাদেরই উত্তরসূরীরা।