রহস্য মানুষের চিরন্তন আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। আগ্রহটা খোঁচাখুচি আর খোঁজাখুঁজিতে পরিণত হয়েছে পেশাগত প্রয়োজনে। বাংলাদেশ প্রতিদিনে রকমারি পাতায় রহস্যময় অজস্র বিষয় নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। সবগুলো বইয়ের মোড়কে আবদ্ধ করার প্রয়োজন মনে হয়নি। তবে এই বইয়ের বিষয়টাই অন্যরকম। ‘রহস্যে ঘেরা সমাধি’Ñ বিস্ময়ের এক ভিন দিগন্ত। মৃত্যুর অমোঘ নিয়ম মেনে প্রতিটি মানুষকেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়। শেষ ঠিকানা হয় একটা সমাধিতে। সেই সমাধিক্ষেত্র নিয়েও যদি তৈরি হয় রহস্যের ঘেরাটোপ তাহলে কে না আগহী হবে? তাও সাধারণ কোনো মানুষের সমাধি নয় মোটেই। একেকজন একেক সময়ের সবচেয়ে বড় খ্যাতির বিজ্ঞাপন। এই মানুষগুলোর বিদায়ের বহু বছর পরও তাদের জীবন ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট, তুতেনখামেন, নেফারতিতি, লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি, নেফারতিতি, চেঙ্গিস খান কিংবা তৈমুর লঙ। এই সকল মানুষের সবার ক্ষেত্রেই একটা জায়গায় খুব মিল। তাদের প্রত্যেকের সমাধি নিয়েই রয়েছে নানারকম রহস্য। প্রচলিত আছে সত্যি-মিথ্যার মিশেলে চাঞ্চল্যকর সব গল্প। কিছু সমাধি একেবারে খুঁজে পাওয়া যায়নি, কোনোটা আবার একাধিক জায়গায় থাকার গল্প ফাঁদা। কোনোটা আবার অভিশাপের মোড়কে পেয়েছে কুখ্যাতি। শত বছরের কল্পনা আর অজানায় ডালপালা মেলেছে নানা গল্প। এমন কজন বিখ্যাত ব্যক্তির আলোচিত সমাধির রহস্যের গল্প নিয়েই এই বই। অনেক তথ্য-উপাত্তে গড়মিল থাকলেও এখানে একাধিক মতবাদ তুলে আনা হয়েছে, নতুবা সর্বাধিক সমর্থিত মতামত পেয়েছে প্রাধান্য। ইতিহাসের লুকানো এই সত্যগুলো পাঠককে এতটুকু তুষ্ট করলেই সার্থক হবে এই চেষ্টা।
পরিচিতি রণক ইকরাম: কাগুজে নাম মোহাম্মদ ইকরাম-উল-করিম হলেও লেখালেখি করেন রণক ইকরাম নামে। জন্ম কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার শংকুচাইল গ্রামে। বাবা রেজাউল করিম এবং মা মনোয়ারা বেগম। কুমিল্লাতেই মাধ্যমিকের গণ্ডি টপকানো। তারও আগে লেখালেখির ভূত সওয়ার হয়। এরপর নটরডেম কলেজ আর ঢাকা ভার্সিটির গৌরবময় আঙিণা মাড়িয়ে এখন কর্মজীবনে। কাজ করছেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের জ্যেষ্ঠ সহ সম্পাদক পদে। সেখানে রকমারি, বিনোদন, ফ্রাইডে, শনিবারের সকাল ও ডাংগুলি পাতার ইনচার্জ এর দায়িত্ব পালন করছেন। লিখতে ভালোবাসেন বিচিত্র সব বিষয়ে। মূলত ইতিহাস, রহস্য, রোমাঞ্চ লিখতে বেশি ভালোবাসেন। তবে সবকিছুতেই সমান আগ্রহ। দ্বিধাহীন চিত্তে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লিখে যেতে চান।