বন্ধুত্বের সাতকাহন মূলত বন্ধুত্ব ভিত্তিক উপন্যাস। এখানে যে তিনটি চরিত্র আছে আরিফ, আবির ও তানভীর। এরা তিনজনই বাস্তবে রয়েছে। এটি মূলত আমার জীবন নিয়ে লেখা। কিন্তু এটিকে এমন ভাবে সাজিয়েছি যে, এটি আমার জীবনে আর রইল না। কিন্তু প্রত্যেকটা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আমার জীবনে ঘটেছে বা আমি শুনেছি। এই গল্পটি লিখতে আমার অনেক দিন সময় লেগে যায় কারণ আমি একজন ধীর গতির লেখক। আমি এটি শুরু করেছিলাম ২০১৯ সালের ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, সোমবার। এই লেখাটি মূলত শুরু করেছি আমার একটি ভাইয়ের একটি কথার থেকে, 'বন্ধুত্ব সব সময় খারাপ হয় না, বন্ধু অনেক সময় অনেক জীবন বাঁচানোর কাজও করে' যখনই এই কথাটি আমি শুনেছি তখনই আমার মনের মধ্যে একটি অন্যরকম অনুভূতি চলে এসেছে। আমি মনে করেছি আমার তো জীবনে অনেক বন্ধুই ছিল, কিন্তু কেমন হয় যদি আমার এই বন্ধুদের নিয়ে একটা গল্প লেখা যায়? তখন থেকেই বসে গেলাম খাতা নিয়ে লেখা শুরু করলাম। লেখা ঠিক হচ্ছে কিনা সেটা জানার জন্য আমার কিছু বন্ধুদেরকে লেখাগুলা পাঠালাম। যাদেরকে পাঠালাম তাদেরও অনেকজন এই গল্পের চরিত্র। প্রায় এভাবে তিন মাস ওদেরকে পাঠাতে থাকলাম কিন্তু পরবর্তীতে আমাদের আর গল্প আদান প্রদান করা হলো না কোন এক কারণে। এরপর থেকে আমিও লেখাটি ছেড়ে দিয়েছি। প্রায় এভাবে চলে যায় দুই বছর। মাঝে মাঝে লিখতাম আবার মাঝে মাঝে লিখতাম না। হয়তো এক লাইন দুই লাইন লেখা হতো। হয়তো মাঝেমধ্যে এক পৃষ্ঠা এভাবে লেখা হতো কিন্তু নিয়মিত ছিলাম না। মাঝখানে আবার আমি বসেছিলাম 2022 সালে, কিন্তু পরবর্তীতে আমার একটি শিক্ষার্থীকে এই লেখাটি দেখালাম। তখন লেখা হয়েছিল ষষ্ঠ অধ্যায় পর্যন্ত। এরপর ও গল্পটি পড়ে বলছে যে, আমাকে যেন এক মাসের মধ্যেই আমি উপন্যাসটি শেষ করি। আমি পরে যাই ভ্যাবাচেকার মধ্যে। চার বছর ধরে মাত্র ছয় অধ্যায় লেখা হলো এখন মাত্র এক মাসে কিভাবে আমি সম্পূর্ণ উপন্যাসটি শেষ করব। তাও শুরু করলাম কষ্ট করে অনেকদূর লিখতে পারলাম, কিন্তু সেটা বেশি দূর না মাত্র দুই অধ্যায়। এরপর আমার আরো কিছু শিক্ষার্থীদের দেখালাম, তারাও আমাকে অনেক চাপ দিচ্ছে যেন গল্পটা শেষ করি আমি। পরিশেষে আমি গল্পটি 2023 সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে গল্পটি শেষ করি। অক্টোবরে প্রকাশ করবো বলে ভেবে নেয়। এভাবেই গল্পটি লেখা শেষ হয়।