পাহাড়-হাওর-নদী-প্রকৃতির নিবিড় সান্নিধ্যে কোলাহলমুক্ত শান্তশিষ্ট জনপদ নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার কংস নদীর পশ্চিম তীরবর্তী গ্রাম সর্পদর্শন। সর্পদর্শন গ্রামের বিপরীত পূর্বপাড়ে বারহাট্টা থানা। সর্পদর্শন গ্রাম ও বারহাট্টা থানার মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা কংস নদীর তীর থেকে রাশিমনি নামে একটি উচ্ছল চঞ্চলা তরুণী নিখোঁজ হয়ে যায়। মামলা হলেও সমাজ-রাষ্ট্রের ঘূর্ণাবর্তে রাশিমনি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সমাজের কুশীলবদের রাজনীতির কূটকৌশলের হাতিয়ারে পরিণত হয়। দৃঢ় দিকনির্দেশনার অভাবে দিগন্ত জুড়ে পুলিশের শঙ্কা তৈরি হয়।
দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার নানান কূটকৌশলে ঘুরপাক খেতে থাকে রাশিমনির শেষ পরিণতির তথ্য উদ্ধারের দায়িত্ব। জবাবদিহীতার অভাবে সমাজে সৃষ্টি হয় এক শ্রেণির দায়-মুক্তির আবহ। নিষ্ঠুর দুর্বৃত্তের কূটকৌশলের প্রভাবে সত্য চাপা পড়ে বাস্তবতা হয় মলিন; রাজদন্ড চলে যায় পাপাচার বলবানদের পক্ষে। নির্যাতিতরা আশ্রয়ের অন্বেষনে অবতারের অপেক্ষায় প্রহর গুনে। যালিমের যুলুম প্রশমনে প্রতিক্ষার প্রহর অবসানে আবির্ভাব হয় সত্যান্বেষনি পুলিশের।
আইন ও সমাজের ফাঁকফোকরের দায় মিটিয়ে মর্ত্যলোকে শিষ্টের নিরাপদ আবাসন নিশ্চিতকরণে কখনও কখনও কিছু পুলিশের আগমন ঘটে। ধরণীর বিষাক্ত পঙ্কিলতা যাকে এখনও স্পর্শ করতে পারেনি, এমন একজন নবীন পুলিশ কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে রাশিমনি নিখোঁজ হওয়ার শ্বাসরুদ্ধকর রহস্য উদ্ঘাটনের ঘটনা প্রবাহ।