দুর্ভিক্ষ অরাজকতা ও নানান দুরাবস্থার মধ্যে ধুঁকে ধুঁকে চলছে দেশ । সময়টা ১৯৭৪। বরিশালের পাবলিক স্কুল চত্বর ঘিরে বহিরাগতদের অনাচার বেড়েই চলছে ক্রমশ এলাকার শৃঙ্খলা ফেরাতে একাট্টা হই কয়েকজন যুবক, গড়ে তুলি মুক্তবিহঙ্গ খেলাঘর আসর। সংগঠনের দেয়ালিকায় লেখার মাধ্যমে লেখালেখিটা শুরু করি সেই ১৯৭৫ সালে। ছোট গল্প , ছড়া ও কবিতা দিয়েই লেখালেখির যাত্রা শুরু হয়। থেমে থেমে হলেও চলছিল লেখা। পেশাগত কারণে খাগড়াছড়িতে বদলি হলে লেখার প্রতি আরও বেশি যত্ন নিতে পারি। করোনাকালীন সময়ে লেখালেখির প্রসার ঘটে আরও একধাপ, সাথে থাকে অবসর জীবনের অবারিত সময়। আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “ক্যানভাসে ভালবাসার রং” ১৯৯৯ সালে প্রকাশ পায় সুহৃদ হাসান কবির শাহীনের সহযোগিতায় ওর মাটি প্রকাশন থেকে। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে আবারও বই প্রকাশের ইচ্ছেটা মাথাচাড়া দেয়। যোগাযোগ করি প্রকাশনা জগতে বহুল পরিচিত মুখ রবীন আহসানের সাথে। রবীন এবার দায়িত্ব নিয়েছেন তার প্রকাশনা সংস্থা শ্রাবণ প্রকাশনী থেকে আমার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ “প্রেম ও প্রকৃতির কাব্য” প্রকাশের। ধন্যবাদ রবীন। রবীনের সহযোগিতায় আমার অজস্র পাঠক-পাঠিকার হাতে তুলে দিতে পারলাম এই কাব্যগ্রন্থটি। কাব্যগ্রন্থটির ভাল-মন্দের দায় সবটুকুই আমার। আপনাদের ভাললাগাটাই হবে আমার সাফল্য। লেখক পরিচিতি কবি জিয়াকিসলু। বরিশালে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা। পেশাগত জীবনে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা হিসেবে সংস্থার বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করেছেন। শিশুকাল থেকেই মুকুল ফৌজ, বাংলাদেশ স্কাউট, ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর, চাঁদেরহাট এবং সর্বোপরি শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘরের সাথে সম্পৃক্ত হন। খেলাঘরের সদস্য হিসেবে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি লেখালেখিতে হাত দেন সেই ১৯৭৫ সালে। বিভিন্ন সাময়িকীতে লিখেছেন কবিতা, ছড়া ও ছোট গল্প। তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “ ক্যানভাসে ভালবাসার রং” প্রকাশ পায় ১৯৯৯ সালে। এটি তার দ্বিতীয় প্রয়াস। প্রেম ও প্রকৃতিকে উপজীব্য করে তিনি লিখেছেন অজস্র কবিতা ও ছড়া। তার লেখায় প্রেম-ভালবাসা ছাড়াও সমসাময়িক বিষয় স্থান পেয়েছে মাঝেমধ্যেই। চাকরির অবসরে তার এখন অবারিত সময়, তাই লিখে চলেছেন অবিরত।