বই পড়া একটি মহৎ কাজ। বই পড়ার অভ্যেস এখন আগের চাইতে কমে গেছে এ ধারণা সত্য নয়, হয়তো পড়ার ধরন পাল্টেছে, উপকরণ পাল্টেছে, কিন্তু পড়ার অভ্যাস মানুষের কমেনি। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে দেশ যত বেশি উন্নত সে দেশের মানুষের মধ্যে বই পড়ার প্রবণতা তত বেশি। তার একটি উদাহরণ হিসেবে দীর্ঘদিন উন্নত এ দেশটিতে অবস্থান করে দেখতে পাই দৈনন্দিন চলাচলের বাহন পাবলিক বাস এবং ট্রেনের ভেতরে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থাকা মানুষেরা যে যেভাবেই থাকুক না কেন তাদের বেশিরভাগের হাতেই একটি করে বই থাকে, যে বইটি তাদের এই পথচলার সঙ্গী। গন্তব্যে পৌঁছানোর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তারা সেই বইয়ের উপরে চোখ বুলিয়ে যেতে থাকে। আসলে বই পড়ার এ বিষয়টা সম্পূর্ণই একটা অভ্যেস কিংবা মানষিক শান্তির একটা প্রক্রিয়া। সে জায়গা থেকে বই পড়া এবং লেখার মত এই মহৎ কাজটির সাথে আমি নিজেকে সামান্য পরিমান সম্পৃক্ত রাখতে পেরে মনে মনে ভীষণ আনন্দিত এবং পুলকিত। আমার ভেতরে এ বোধ বেড়ে চতুর্গুণ হয়েছে যখন আমার প্রথম বই "মোহ'' বাজারে এসেছে তার পর থেকেই। বইটি পড়ে আমার বন্ধুবান্ধব, ঘনিষ্ঠজন, পরিচিত- অপরিচিত পাঠকসমাজ আমাকে এতটাই উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে যে আমি সেটাকে ধরে রাখার জন্য আমার এই দ্বিতীয় বই "মেঘের নৌকা'' লেখার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি এবং অবশেষে বইটি বের করতে সক্ষম হই। জীবন চলার পথে যেসব সত্যঘটনাগুলোর সম্মুখীন আমরা প্রতিনিয়ত হতে থাকি সেসব ঘটনাগুলোকেই গল্পরূপে সাজানো হয়েছে বইটিতে। যা পড়ে আপনারা সত্যিই আনন্দিত হবেন। লেখনিতে তথ্য প্রযুক্তি থেকে অনেক তথ্যের সাহায্য নেয়া হয়েছে তবুও ভুলত্রুটি থেকে যেতে পারে। পাঠকসমাজ আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করছি। বইটি ছাপানোর পেছনে প্রকাশকসহ যারা আমাকে বিশেষ সহযোগিতা করেছেন তাদের সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ধন্যবাদ জানাই। নাজনীন নিশা মন্ট্রিয়ল, কানাডা
জন্ম: কবি ও গল্পকার নাজনীন নিশা, ঢাকার মিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ঢাকার মোহম্মদপুরে তার বাবার নিজ বাসস্থানে বেড়ে ওঠেন। তার পৈতৃক নিবাস লক্ষ্মীপুর জেলা। পড়ালেখা: গুলশান মডেল হাইস্কুল থেকে এসএস সি করেন, লালমাটিয়া গার্লস কলেজ থেকে এইসএসসি এবং ঢাকা কমার্স কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালীন সময়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন পরবর্তিতে ব্যবস্থাপনা (ম্যানেজমেন্ট) নিয়ে এমকম শেষ করেন। দাবা এবং ব্যাডমিন্টন খেলতে ভীষণ ভালোবাসতেন। পেশাগত জীবন: ২০০২ সাল থেকে তিনি কানাডা প্রবাসী। কানাডা, কুইবেক থেকে তিনি একাউন্টিং ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট এবং হেলথ কেয়ার ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি কানাডা গভর্নমেন্ট হেলথ কেয়ারে কর্মরত আছেন। ২০০৬ সাল থেকে মন্ট্রিয়লের বাঙালি কমিউনিটির সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উপস্থাপনা, গান এবং কবিতার সাথে জড়িত। তাই এ অঙ্গনে তিনি ভীষণ জনপ্রিয় এবং পিরিচিত একটি মুখ। এছাড়াও একজন শিল্পী সংগঠক হিসেবে সংগঠনের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশগ্রহন করেন।