মেঘলা আর আকাশ ভালো বন্ধু। এমন বন্ধুত্ব এই যুগে সচরাচর বিরল। ভার্সিটিতে অনার্স পড়ার সময় তাদের পরিচয়। একে অপরকে দারুন বিশ্বাস করে এবং বেশ মূল্য দেয়। দুজনের মধ্যে গড়ে উঠে অপরিসীম মূল্যবোধ। এক সময় দুজনই মডেলিংয়ে যুক্ত হয়। নিয়মিত মডেলিং করে, নাটক করে। এভাবে তাদের সময় বেশ ভালোই কাটছিল। এক সময়ের ভালোলাগা বন্ধুত্ব ছাপিয়ে পবিত্র ভালোবাসায় রূপ নেয়। এমন স্বাভাবিক সুন্দর পথচলায় বাধ সাধে জীবনের অমোঘ নিয়তি। মেঘলার বাবা দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়। এমন বিপদে এগিয়ে আসে তার এক বন্ধু। বন্ধু একই সাথে তার ছেলে নীলের সাথে মেঘলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু নীল আর আকাশ একে অপরের কাজিন তা তারা সেদিন হঠাৎই জানতে পারে। এক কথা শুনে মেঘলা-আকাশ দুজন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলেও আকাশ মেঘলার বাবার আর্থিক সাহায্য ও সুচিকিৎসার কথা ভেবে ত্যাগ স্বীকার করে। আকাশ মেঘলাকে উল্টো সান্ত¦না দেয়। নীলের সাথে পরিণয়ে সিক্ত হতে বলে। পরবর্তীতে আকাশ আমেরিকা চলে যায়। আখ্যানে রয়েছে আরও নানা রটনা, ঘটনা। একটা পবিত্র বন্ধুত্বের, ভালোবাসার সামাজিক গল্প নিয়ে এগিয়ে গেছে মেঘলা-আকাশ চরিত্র দুটি। এমন সুন্দর পবিত্র গল্প জানতে হলে পড়তে হবে ‘মেঘলা আকাশ’ পুরো উপন্যাসটি।