নিজামুল ইসলাম সরফী একজন নির্ভরযোগ্য সংস্কৃতি কর্মী ও লেখক। নব্বই দশকে আমরা যখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ও সাম্প্রদায়িকতাবিরোধী আন্দোলনে সোচ্চার ভূমিকা পালন, প্রতিবাদী ছড়া সংকলন প্রকাশ ও প্রতিবাদী সমাবেশের আয়োজন করছিলাম, তখন নিজামুল ইসলাম সরফী ভূমিকা রেখেছেন অসীম সাহসিকতায়। বঙ্গবন্ধু লেখক শিল্পী সম্মিলন পরিষদ গঠন এবং পরিষদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তিনি সক্রিয় ছিলেন। সংস্কৃতিকর্মী ও প্রাবন্ধিক হিসেবে তিনি সমধিক পরিচিত। নব্বইদশকে চট্টগ্রামে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে মাসব্যাপী যে একুশমেলা হতো, সরফী ছিলেন তার অন্যতম সংগঠক। তদানীন্তন দৈনিক আজাদীর সহকারী সম্পাদক সিদ্দিক আহমেদ প্রথম গ্রন্থের ভূমিকাতে লিখেছিলেন ‘সরফী সেই সময়ে দেশের কয়েকজন বিখ্যাত লোকের পরিচয়মূলক কিছু লেখা লেখেন।’ বস্তুত নিজামের লক্ষ্য ছিল শিশু-কিশোরদের মনে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানকে নিয়ে আগ্রহ সৃষ্টি এবং অনুসন্ধিৎসা জাগিয়ে তোলা। নিজাম তার ক্ষমতা অনুযায়ী সহজ ভাষায় ছোট ছোট জীবনী রচনা করেছেন। পড়তে সময় বেশি নেয় না। কিন্তু আলোচ্য ব্যক্তি সম্পর্কে একটা সহজ ধারণা দাঁড়িয়ে যায়। ‘ব্যক্তিত্বে সৃষ্টিতে চট্টগ্রাম’--এটি নিজামুল ইসলাম সরফীর দ্বিতীয় গ্রন্থ। গ্রন্থটিতে এবার তিনি চট্টগ্রামের জীবিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে লেখা সংক্ষিপ্ত জীবনমালা গ্রন্থবদ্ধ করে প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। এতে তিনি বয়সানুক্রমিকভাবে চট্টগ্রামের উল্লেখযোগ্য কৃতি মনীষীদের স্থান দিয়েছেন। এ গ্রন্থ প্রকাশের পর সরফী লেখলেখিতে আরও বেশি নিবিষ্ট হবেন তেমন প্রত্যাশা রাখি।