কবি পরিচিতি ফারজানা রুমা ৫ই অক্টোবর চট্টগ্রাম শহরের সীতাকুন্ডে জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস লক্ষ্মীপুর। জন্ম ও বেড়ে উঠা চট্টগ্রামের নৈসর্গিক পরিবেশে। নান্দনিক প্রকৃতিই তাঁকে সাহিত্য ও আবৃত্তিচর্চার অন্যতম অনুরাগী করে তুলে। লিখেন গল্প ও কবিতা। চর্চাসূত্রে তিনি মঞ্চ ও টেলিভিশনে অনিয়মিত অনুষ্ঠানে সংযুক্ত থাকেন। ফারজানা রুমা ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক সম্মান ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এছাড়াও বিএড এবং তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অধ্যয়নরত আছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি শিক্ষক, সংগঠক ও কবি আলী প্রয়াসের সাথে পরিণয়সূত্রে যৌথযাপন করছেন। ‘বর্ণমালা’ তাঁদের একমাত্র সন্তান। যাপিত জীবনে টেকনাফ-চট্টগ্রামই স্থায়ী-অস্থায়ী আবাসস্থল। ------------------ ফারজানা রুমা মেঘলগ্নতা থেকে মনের মুক্তি চান। এ-মুক্তি জীবনে স্বাচ্ছন্দ্যের লক্ষ্যে, সুষমগতি ফিরে পাওয়ার আকাক্সক্ষায়। মেঘের শেষেই তো থাকে কাম্যজীবন: ‘এ-মেঘে বালিকাটির বৈষ্ণবজীবনশেষে কাম্য/ কল্পতরুর আস্তানা’। সমাজে বিদ্যমান পুরুষতান্ত্রিক অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে, প্রেমে আরাধ্যের অবহেলা-অযত্নের প্রতি তিনি বেজায় উচ্চকণ্ঠ, জানিয়েছেন হার্দিক ঘৃণা। চান ন্যায়নির্ভর এক সমাজ, নান্দনিক সবুজজগৎ। মানুষ ব্যথায় বাঁচে তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ। কয়েকটা কবিতার ঢঙ চিত্তসুখকর, উত্তুঙ্গ। কাব্যের নামটা দর্শনসমৃদ্ধ। ফরাসি দার্শনিক রেনে দেকার্তের ‘আমি চিন্তা করি, সুতরাং আমি আছি’ আপ্তবাক্যের অনুরণন বা ব্যঞ্জনা এতে মেলে। সত্যই তো, ব্যথা-বেদনা থাকলে নিজের অস্তিত্ব টের পাই, মনে হয় বেঁচে আছি। ‘এ-ই জীবন অমর জন্মের অনুগামী’। মোটাদাগে জীবনবাদী এই কবির এ-কাব্য পাঠকসমাদৃত হোক। সবুজ তাপস কবি ও দার্শনিক