আধুনিক সভ্যতার আড়ালে হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে ও কালের বির্বতনে যেন তা হারিয়ে না যায় সেইজন্য এই খেলা আজও টিকিয়ে রেখেছেন ওস্তাদ ভাইয়ের পরবর্তী প্রজন্ম।একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক তাঁর লেখায় লিখেছেন, “আমাদের সমগ্র কুষ্টিয়া অঞ্চলে,এমনকি গোটা দেশে লাঠি খেলোয়াড় হিসেবে বিখ্যাত ছিলেন মজমপুর কুষ্টিয়ার সিরাজুল হক চৌধুরী। তাঁর ছিল একটা বাঘের চামড়া, সেটা গায়ে জড়িয়ে ব্যাঘ্র হুংকার দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর লাঠি চালাতেন”।তাঁর শিষ্যরা ও পরবর্তী প্রজন্ম এখনও সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। মরহুম সিরাজুল হক চৌধুরী (ওস্তাদ ভাই) সেই ১৯৩০' এর দশক থেকেই অবিভক্ত বাংলায় লাঠিখেলাকে জোতদার - জমিদারদের লাঠালাঠি থেকে একটি উপভোগ্য খেলা, ও আত্মরক্ষার উপকরণ হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।উল্লেখ্য, সেই সময় তাঁর একক চেষ্টাতেই বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী গড়ে ওঠে, সারাদেশে যার দশ হাজারের বেশি সদস্য রয়েছেন। আজও আমরা ওস্তাদ ভাইয়ের পরবর্তী প্রজন্ম, সন্মানিত লাঠিয়াল ও শুভাঙ্কাখীরা টিকিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ইতিবাচক সহযোগিতা কাজকে আরো তরান্বিত করবে।ব্রিটিশ আমল, পাক-ভারত আমল,পাকিস্তান আমল তারপর সার্বভৌম বাংলাদেশে “বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী”র প্রায় ৯০ বছরের চলার পথ॥ বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনীর সকল কর্মকর্তা, ওস্তাদ ও প্রশিক্ষক, লাঠিয়াল, লাঠিখেলা শিক্ষার্থী-প্রশিক্ষনার্থী ও শুভানুধ্যায়ীদের জন্য রইলো শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। *বই মানুষের হৃদয়ের দ্বার খুলে দিয়ে চিন্তার জগৎকে প্রসারিত করে এবং মানুষের আত্মার প্রসার ঘটায়। প্রতিটি সফল মানুষ নিয়মিত বই পড়তেন। বই পড়লে মানুষের চিত্ত প্রফুল্ল হয়।