মানব সভ্যতার অগ্রগতি তথা বিকাশে 'এনার্জি'র ভূমিকা অপরিহার্য। ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের জন্যই নব নব প্রযুক্তির উদ্ভাবন হয়ে চলেছে। তবে নতুন কিংবা পুরাতন যে কোন প্রযুক্তির বাস্তবায়নে বা যে কোন কিছু সৃষ্টির জন্য 'শক্তি' বা 'এনার্জি' অতি আবশ্যক। তাই সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই মানুষ অবচেতন বা সচেতনভাবে এনার্জির উৎস সন্ধানে ও সংরক্ষণে তৎপর ছিল। বৃহদায়তন উৎপাদন ব্যবস্থাকে সচল রাখা এবং প্রাত্যহিক জীবনের শক্তি নির্ভর সুবিধা দানকারী ব্যবস্থাগুলোকে সক্রিয় রাখার জন্য নিরবচ্ছিন্ন এনার্জির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রথাগত বা গতানুগতিক এনার্জি সৃষ্টিকারী উৎসের সম্প্রসারণে তাই 'পারমাণবিক শক্তির ব্যবহার' আজকের দিনে পরিহারঅযোগ্য বাস্তবতা। সৌরশক্তির প্রত্যক্ষ ব্যবহার ইতোমধ্যেই উন্নত দেশে শুরু হয়ে গিয়েছে। ছোটদেরকে শক্তি তথা এনার্জির আদি উৎসের সাথে পরিচিত করে দেয়া, প্রাথমিক উৎস হিসেবে সূর্য এবং বৃক্ষের অবস্থান ও গুরুত্বকে প্রকাশ করা, এনার্জি'র ব্যবহার, রূপান্তর ও বিকল্প উৎস হিসেবে পারমাণবিক শক্তির প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করাই ছিল এ বইটির মূল উদ্দেশ্য। যাদের জন্য লেখা তারা যদি উপকৃত হয়, আনন্দ পায়- তাহলে নিজেকে ধন্য মনে করব। বইটির প্রকাশে ইস্ট পাকিস্তান পাবলিশার্স-এর অন্যতম কর্ণধার শ্রী যামিনী কান্ত ঘোষালের বড় ছেলে মেধাবী তরুণ শ্রী রতন কুমার ঘোষাল যে মূল্যবান পরামর্শ ও নির্দেশণা দিয়েছেন তা আমি কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি।