এখন আর কেউ কারো খবর রাখেনা সব কিছুই যেন স্বার্থের বেড়াজালে আটকানো। স্বার্থ ছাড়া কেউ কিছুই বোঝেনা। কারো কষ্ট, কারো দুঃখ আপনজনের মনকে আর বিগলিত করেনা। কারো দুঃসময়েও আপনজনের কিছুই আসে যায় না। আপনজনেরা যার যার মতো নিজের স্বার্থ নিয়েই ব্যস্ত। যদি কেউ হৃদয়ের যন্ত্রণায় সারাক্ষণ বুক চাপড়িয়ে মরে তাতেও কারো কিছু আসে যায় না। মনে হয় এতে কেউ কেউ যেন খুশিই হয়। কতটা পাষাণ, কতটা নির্দয় হতে পারে মানুষ। যাদেরকে আপন ভাবা হয় তারাই বেশি স্বার্থপর হয়। তারাই বেশি কষ্ট দেয়,বেশি আঘাত করে। আঘাতে হৃদয়টা ক্ষত-বিক্ষত হয়। মনটা বেদনায় ভরিয়ে দেয়। অবুঝ মন আপন জনের দেয়া কষ্ট মেনে নিতে চাইনা। নীরবে দু'চোখে অশ্রু ঝরে। তাতে কার কি এসে যায়। শুধু তীব্র ব্যথা বুকে চেপে সব ভুলে থাকার ব্যর্থ চেষ্টা। আপন জনের দেয়া আঘাতে আর স্বার্থপরতার কারণে থেমে যায় মনের চাওয়া পাওয়া। জীবনের মূল্যবান সম্পর্ক হচ্ছে আপনজন। আপন জনেরা এখন সেই সম্পর্ক গুলোকে মূল্যায়ন করতে চাইনা। শুধু নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনে সম্পর্ক গুলোকে ব্যবহার করতে চাই। এই সম্পর্কের মাঝে নেই কোন যত্ন,নেই কোন ভালোবাসা। আছে শুধু স্বার্থ। তাইতো সম্পর্ক গুলোও যতটা পারে কষ্ট দিয়ে যায়। স্বার্থের কারণে স্নেহ-ভালোবাসা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আহা রে!জীবন। মানুষ কতই না বিচিত্র। কতই না স্বার্থপর। স্বার্থের কারণে আপনজনও দূরে সরে যায়। নিজেরটাই শুধু বুঝে নেয়, আর নিজের ভালো থাকাটাই খুঁজে নেয়।