কবিতা কেন লিখি জানি না। আদৌ লেখাগুলো কবিতা হয় কিনা তাও জানা নেই। কিন্ত অবচেতন মনে মাঝে মাঝে শব্দেরা দুঃসহ প্রতিবাদী হয়। কি জানি তাদের এই প্রতিবাদ গুলোকে অক্ষরে অক্ষরে সাজিয়ে রাখার নিমিত্তে হয়তো আমার এই বৃথা কাব্য প্রয়াস।দীর্ঘদিনের একটি অভ্যাস আমার নামীদামী কবিদের পাশাপাশি নতুনদের কবিতা পড়া। যতই কবিতা পড়ি ততই নিজের ভেতর থেকে এক উদ্যম অনুভব করি। তাই চারিপাশে বিরাজমান ঘটনাবহুল বিষয়গুলোকে বইয়ের পাতা বন্দি করার জন্য আমার আপ্রাণ চেষ্টা। জানি না সত্যিকারের কতটুকু আমি করতে পেরেছি। মানুষের যাপিত জীবন সুখ—দুঃখের দোলাচল দোলায়। পৃথিবীর তিনভাগ জল আর একভাগ স্থলের মতন আমার মতে— অধিকাংশ মানুষের জীবনে তিনভাগ দুঃখের বসত। মানুষ জীবনের একভাগ সুখের জন্য বড্ড লালায়িত, বেশি স্বার্থপর।সুখ স্পর্শে অধিকাংশ মানুষই ভুলে যেতে চায় তার দুঃখের সময়। কিন্ত সামান্য সুখের কাছে আমি হাতকড়া পরতে চাই না বলেই আমি আমার চারপাশের দুঃখগুলোকে নিয়ে বেশ ভালো আছি। তাই প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া দুঃখ—বেদনা, প্রেম—অপ্রেম, লাঞ্ছনা—বঞ্চনা, ঘাত—প্রতিঘাত, শোষন—নিপিড়ন আর মানুষের একান্ত হৃদয়ের হাহাকার—কে শব্দের মাধ্যমে চিত্রায়িত করার মানসে এবারের একুশের বইমেলা—২০২৪ এ, আমার একক চতুর্থ কাব্যগ্রন্থ “ কষ্টেরা ভালো আছে”। আশা করছি আপনারা যাঁরা কবিতা প্রেমী তাঁদের আমার নির্বাচিত কবিতাগুলো পড়তে ভাল লাগবে। যদি কোনো একজন পাঠকের হৃদয়ে আমার লেখা একটি কবিতা দোলা দেয় তবে তা হবে আমার এই লেখক জীবনের সার্থকতা। আপনাদের আর্শীবাদপুষ্ট হয়ে আমৃত্যু আমি লিখে যেতে চাই, মিশে থাকতে চাই পাঠক হৃদয়ে। ধন্যবাদান্তে———— হাবিবুল হক চয়ন