‘... উর্দু জাবান আপনা শিফাত আর কাবিলিয়াত কা জারিয়ে আজ গ্লোবাল লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা কা দারজা হাসেল কিয়া। উর্দু জাবান যাঁহা যাঁহা ফায়লনে লাগা সাথ সাথ এলাকা-ই জাবান-কা আসার মে আপনা আপনা ঢাঙ মে এলাকা-ই উর্দু কা বোলি [Dialect] বানাতা গায়া। জেসা লাহোরি উর্দু, ঢাকাইয়া উর্দু, হায়দ্রাবাদি উর্দু ওয়াগায়রা। ইয়ে সিলসিলা দুনিয়া কা হারেক জাবান মে কাম-বেশ জারি হায়। মেশাল কা তাওর মে ব্রিটিশ ইংলিশ, আমেরিকান ইংলিশ, অস্ট্রেলিয়ান ইংলিশ কাবিলে জিকির হায়। ...’ ‘... শত শত বছর থেকেই ঢাকার মানুষের নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। এখানকার স্থানীয় অর্থাৎ ঢাকাইয়ারা দুটি ভাষায় কথা বলে থাকে। একটি হচ্ছে ঢাকাইয়া আঞ্চলিক বাংলা ভাষা, অপরটি হচ্ছে ঢাকাইয়া উর্দু। মোগল আমল থেকেই ঢাকাইয়া জনগণের মাঝে উর্দু ভাষায় কথা বলার প্রচলন রয়েছে। যা ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। ঢাকার বাংলা ভাষার পাশাপাশি মোগল আমলে রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে ফারসি নিজের স্থান অধিকার করে। সেইসাথে উর্দু ভাষাও বিস্তার লাভ করে। ...’ ‘... ঐতিহাসিক এবং ভৌগোলিক কারণে ভারতীয় উপমহাদেশ বহু ভাষার দেশ। নিজের ভাষার বক্তব্য অন্য ভাষায় ভাষান্তরের প্রয়োজনে একাধিক ভাষার জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। নিজ নিজ মাতৃভাষার সফল প্রয়োগের প্রয়োজনে বাংলা শব্দের প্রতিশব্দ জানা থাকাটাও বাঞ্ছণীয়। … বাংলা থেকে ঢাকাইয়া-উর্দু ডিকশনারি বা অভিধান বর্তমান কলেবরে প্রকাশিত হলো। ছাত্র-ছাত্রী, ভ্রমণার্থী ও ভাষা-অনুসন্ধানীগণ ব্যতিরেকেও সর্বসাধারণের কাছে এই অভিধান নিঃসন্দেহে অপরিহার্য হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। মনের ভাব বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর ভাষায় আদান-প্রদান করার প্রথাটিকে রপ্ত করতে এই অভিধানটি হবে একটি উজ্জ্বল পথনির্দেশক। …’ ‘... ঢাকাইয়া-উর্দু পুরনো ঢাকার আদি বাসিন্দাদের মাতৃভাষা যা প্রমিত উর্দু ভাষার উপভাষা। ... ঢাকাইয়া উর্দু , ঢাকাইয়া বাংলা, সিলটি, চাটগাঁইয়া ইত্যাদি-সহ বাংলাদেশের প্রতিটি জাতি-উপজাতির ভাষা, উপভাষা, আঞ্চলিক ভাষা এবং পৃথিবীর সকল মাতৃভাষা বেঁচে থাকুক ও প্রস্ফুটিত হোক। প্রতিটা শিশু নির্বিঘ্নে নিজ নিজ মাতৃভাষার চর্চার সুযোগ লাভ করুক। ভাষা হোক মানুষে-মানুষে দ্বন্দ্ব-বিভাজন দূরীভূত করে প্রেম-ভালোবাসার বন্ধন। কোনো ভাবেই যেন রাজনীতি, অর্থনীতি, শোষণ, শাসন, ধর্ম, জাতি, বর্ণ ইত্যাদির হাতিয়ার হিসেবে ভাষাগত ফ্যাসিবাদ ব্যবহৃত না-হয়। ...’