বর্ণিল আঁধার জীবাশ্মর জীবনবিশ্লেষণমূলক রচনার প্রথম খণ্ড। এখণ্ডে লেখকের কর্মজীবনের প্রথমপর্বের আশ্চর্য জীবনসংগ্রমের কাহিনী লিপিবদ্ধ হয়েছে। দীর্ঘ একচল্লিশ বছরের প্রতিবন্ধীজীবনের অতীতে ডুব দিয়ে জীবাশ্ম নানা দুঃখ কষ্ট বঞ্চনা যন্ত্রণা বৈষম্য উপেক্ষা ব্যথা বেদনা তাচ্ছিল্য ও আঘাতের পাশাপাশি ভালবাসা সহযোগিতা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণালাভের অমূল্য মণিমাণিক্য সংগ্রহ করে পাঠকসমীপে হাজির করেছেন। তাঁর কর্মজীবনের শুরুটা ছিল সীমাহীন চ্যালেঞ্জের। কাজ করার মতো শারীরিক সক্ষমতা তেমন ছিল না। পিতৃতুল্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সারাক্ষণ ছায়ার মতো পাশে থেকে তাঁকে জীবনযুদ্ধে জয়ী করেছেন। এই প্রাপ্তির পেছনে যেমন তাঁর শ্রম, একাগ্রতা, নিষ্ঠা ছিল, তেমনি ছিল বড় ভাই জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শাসন, উৎসাহ, অনুপ্রেরণা ও দিক-নির্দেশনা। জীবাশ্ম কোনো ব্যক্তি শারীরিক প্রতিবন্ধীত্বের শিকার হলে ভেঙে না পড়ে ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা, শ্রম আর নিষ্ঠা নিয়ে জীবনযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে বলেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রতি তাঁর উদাত্ত আহ্বান ‘আপনারা জীবন থেকে ছিটকে যাবেন না। মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে না পড়ে মনোবল চাঙ্গা করুন, ঘুরে দাঁড়ান জীবনকে নতুন করে গড়তে।’