কবিতা বা পদ্য সাহিত্যে প্রাচীনতম শাখা । মন থেকে আগত কোনো ভাব,সতর্ক ও দক্ষতার সাথে তার পর্যবেক্ষণ, মগজ ব্যবহারের ভাবনা ইত্যাদি ছন্দবদ্ধ আকারে প্রকাশই পদ্য বা কবিতা । কবিতা মূল বিষয়বস্ত ভাব ও শাব্দিক ঝংকার। বিভিন্ন জ্ঞানী - গুণীজন বিভিন্ন পন্থায় কবিতায় মূল্যায়ন করে থাকে । ফলে কবিতা সঠিক সংজ্ঞা নিরুপন করা অনেক কঠিন কাজ। কবি হুমায়ুন আজাদের মতে, " যা পুরোপুরি বুঝে উঠবে না , বুকে, ওষ্ঠে, হৃৎপিণ্ডে, রক্তে , মেধায় সম্পূর্ণ পাবো না ; যা আমি অনুপস্থিত হয়ে যাবার পরও, রহস্য রয়ে যাবে রক্তের কাছে , তার নামই কবিতা ' । বুদ্ধদেব বসুর মতে, ' কবিতা আমাদের বুঝায় না ; স্পর্শ করে , স্থাপন করে একটা সংযোগ । ভালো কবিতা প্রধান লক্ষণই এই যে, তা বুঝা যাবে না, বুঝানো যাবে না । সৈয়দ শামসুল হকের মতে, ' কবিতা হচ্ছে সর্বোত্তমভাবে সর্বোত্তম শব্দের সর্বোত্তম প্রকাশ । আল মাহমুদের মতে, ' পাখির নীড়ের সাথে নারীর চোখের সাদৃশ্য আনতে যে সাহসের দরকার সেটাই কবিত্ব '। শেলীর মতে, ' কবিতা হলো পরিতৃপ্ত এবং শ্রেষ্ঠ মনের পরিতৃপ্ত এবং শ্রেষ্ঠ মুহূর্তের বিবরণ '। কবিতার কবির অঙ্গনে ' মেঘ বৃষ্টি রোদ ফুল ' - তে কবি ও গীতিকারদের কাছে যাবার চেষ্টা করেছেন মাত্র । ফলে প্রাকৃতিকও বৈচিত্র্যময় সম্মানে কবির প্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাদের উদ্দেশ্য কবি উৎসর্গ করে দিয়েছেন মাত্র।
কবি জামিনুর ইসলাম ১৯৮৭ সালে ৩১ডিসেম্বর জামালপুর জেলা সরিষাবাড়ি থানা ভাটারা ইউনিয়ন পশ্চিম জয়নগর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মোঃ আঃ রহিম এবং মায়ের নাম আঙ্গুরী বেগম । সবুজ অরণ্যে পরিবেষ্টিত পশ্চিম জয়নগর গ্রামে প্রাকৃতিক পরিবেশে মায়াবী ছায়ায় বেড়ে উঠেছেন। প্রকৃতির সাথে মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবন একই রূপ এবং এর সৌন্দর্য রূপমা চিরস্মরণীয় ভাস্কর্য হতে পারে লেখনীয় দ্বারায়। তাঁর প্রথম কাব্য গ্রন্থ হচ্ছে " জীবন্ত ঝলসে যাওয়া উদ্ভাস (২০২২) এবং দ্বিতীয় কাব্য গ্রন্থ হচ্ছে " জল ছেঁড়া জল (২০২৩) । অচিরেই আরও বই প্রকাশ্যে ব্যাপারে লেখক দৃঢ়ভাবে আশাবাদী । তিনি শৈশব থেকেই লেখালেখি মধ্যে অভ্যস্ত এবং আন্তরিকতার সাথে পরম মমতা দিয়ে তাঁর লেখা পাঠকের মনে ভালোবাসার জায়গায় দখল করে নিয়েছে।