এই বইটির ভাষা সহজ নয়। পাঠককে তাই একাধিকবার বইটি পড়তে হবে। বইটি মূলত তিন ধরনের পাঠকদের জন্য লেখা হয়েছে - জীববিজ্ঞানী, জীববিজ্ঞানের শিক্ষার্থী এবং সাধারণ পাঠক। কিন্তু সাধারণ পাঠক যদি এই বইটি বিবর্তন সম্বন্ধে জানার আগ্রহে প্রথম বই হিসেবে হাতে তুলে নেন, তার হতাশ হবার সম্ভাবনা থাকবে। আমি বরং তাকে জেরি কয়েনের ‘হোয়াই ইভোল্যুশন ইজ ট্রু’ আর রিচার্ড ডকিন্সের ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো আন আর্থ’ বই দুটি পড়তে অনুরোধ করবো আগে। জিন-কেন্দ্রিক বিবর্তনের ধারণাটি উপস্থাপন করতে গিয়ে তিনি এই বইয়ে ষাটের দশক নাগাদ প্রকাশিত বেশ কয়েকজন গাণিতিক ও তাত্ত্বিক জীববিজ্ঞানীদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ধারণা ব্যবহার করেছেন। তৎকালীন জীববিজ্ঞানের কেন্দ্রীয় একটি বিভ্রান্তিকে সংশোধন করতে গিয়ে রিচার্ড ডকিন্স তার এই বইয়ে জর্জ সি. উইলিয়ামস, ডাবলিউ ডি. হ্যামিলটন, রবার্ট ট্রিভার্স, জন মেনার্ড স্মিথের মতো আরো কয়েকজন তাত্ত্বিক জীববিজ্ঞানীদের ধারণা বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে বিবর্তন প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক নির্বাচন আসলে কোন এককটির ওপর কাজ করে - প্রজাতির একক সদস্য নাকি প্রজাতি বা গোষ্ঠী, রিচার্ড ডকিন্স বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন কেন প্রাকৃতিক নির্বাচনের কাজ করার একমাত্র ক্ষেত্র হচ্ছে জিন। আর জিনের সম্পর্কই নির্ধারণ করে কেন স্বার্থপর লক্ষ্য নিয়ে কর্মরত জিন পরার্থিতা ও সহযোগিতার সাথে আচরণ করতে পারে। এছাড়াও এই বইয়ে তিনি আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারণা যুক্ত করেছেন, যেমন ‘মিম’ ধারণাটি - জিনের অনুরূপ যে এককটি সাংস্কৃতিক বিবর্তনের ভূমিকা রাখে বলে তিনি প্রস্তাব করেছেন, এছাড়াও আমরা জীব-আচরণ ও পরার্থিতা বিবর্তনের প্রাসঙ্গিকতায় অ্যাক্সেলরডের গেম থিওরি সংক্রান্ত একটি বিস্তারিত আলোচনা পাবো স্বতন্ত্র একটি অধ্যায়ে। পরিশেষে ডকিন্স তার নিজের পেশাগত জীবনের সেরা কাজ হিসেবে চিহ্নিত করা ‘দ্য এক্সটেন্ডেড ফিনোটাইপ’ বইয়ের একটি সংক্ষেপিত রূপ যুক্ত করেছেন এই বইটির শেষ অধ্যায়ে। একটি সময়ে বৈপ্লবিক এবং পরবর্তীতে সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানের বই হিসেবে চিহ্নিত হওয়া এই বইটির কোনো ধারণাই এখন আসলে আর বৈপ্লবিক নয়, কারণ এটি মূলধারার অংশে পরিণত হয়েছে। সাধারণ পাঠকরা যারা জীববিজ্ঞানের গাণিতিক আর তাত্ত্বিক বিষয়গুলোর ধারণা থেকে দূরে অবস্থান করেন, এই বইটির সাধারণ পাঠকদের সেই চাহিদাটি পূর্ণ করতে চেয়েছে, কিন্তু মূলত এই বইটির লক্ষ্য ছিল অগণিত জীববিজ্ঞানী ও ছাত্ররা - যারা জৈববিবর্তনের গুরুত্বপূর্ণ একটি ভ্রান্তি সংশোধনের সুযোগ পেয়েছিলেন।
Clinton Richard Dawkins, FRS FRSL (born 26 March 1941) is an English ethologist, evolutionary biologist, and author. He is an emeritus fellow of New College, Oxford, and was the University of Oxford's Professor for Public Understanding of Science from 1995 until 2008. Dawkins first came to prominence with his 1976 book The Selfish Gene, which popularised the gene-centred view of evolution and introduced the term meme. With his book The Extended Phenotype (1982), he introduced into evolutionary biology the influential concept that the phenotypic effects of a gene are not necessarily limited to an organism's body, but can stretch far into the environment. In 2006, he founded the Richard Dawkins Foundation for Reason and Science. Dawkins is known as an outspoken atheist. He is well known for his criticism of creationism and intelligent design. In The Blind Watchmaker (1986), he argues against the watchmaker analogy, an argument for the existence of a supernatural creator based upon the complexity of living organisms. Instead, he describes evolutionary processes as analogous to a blind watchmaker, in that reproduction, mutation, and selection are unguided by any designer. In The God Delusion (2006), Dawkins contends that a supernatural creator almost certainly does not exist and that religious faith is a delusion. Dawkins has been awarded many prestigious academic and writing awards, and he makes regular television, radio, and Internet appearances, predominantly discussing his books, his atheism, and his ideas and opinions as a public intellectual.