"দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টান, জীবন পাল্টে যাবে।” নয়। এতে রয়েছে চড়াই-উৎরাই ও বাধা-বিপত্তি। জীবনের এ দুর্গম পথে চলতে গিয়ে বাধা-বিপত্তির মুখোমুখি হলে আমরা সেই অবস্থাকে কীভাবে গ্রহণ করব তা নির্ভর করে আমাদের মানসিকতার উপর। যারা সব বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা জীবনে সুখ, শান্তি, ও প্রত্যাশিত সমৃদ্ধি লাভ করতে হলে আমাদেরকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জীবনের পথ পরিক্রমা কুসুমাস্তীর্ণ করেন, তারা বাধা-বিপত্তিকে সাফল্যের সিড়ি হিসেবে গ্রহণ করেন। পক্ষান্তরে যারা নেতিবাচক চিন্তা করেন, তাদের কাছে যে কোন বাধা-ই বিরাট প্রতিবন্ধক। তাই ইতিবাচক মানসিকতাসম্পন্ন মানুষ কখনো আটকে থাকে না। তারা স্থিরভাবে লক্ষ্যপানে এগিয়ে যায়। ইতিবাচক মানসিকতাসম্পন্ন মানুষের কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তারা আত্মপ্রত্যয়ী, সহনশীল, নিরহঙ্কার ও দয়াবর্ষণ। তারা নিজেদের সম্পর্কে যেমন ইতিবাচক ধারণা রাখেন, তেমনি অন্যদের সম্পর্কেও তাদের ধারণা ইতিবাচক। তদুপরি সব কাজেই তারা ইতিবাচক ফল প্রত্যাশা করেন। তবে এ ইতিবাচক মনোভাব কারো কারো মধ্যে সহজাত স্বভাব ও প্রবৃত্তির মতো থাকে। তবে বেশিরভাগ মানুষকে তা অনুশীলন করে অর্জন করতে হয়। কেননা মানুষের স্বভাব পরিবর্তন পরিপন্থী। পরিবর্তন অস্বস্তিকর। কিন্তু এ পরিবর্তন কষ্টসাধ্য ও বিরক্তিকর হলেও এর পরিনাম খুবই ভালো। দার্শনিক এরিস্টটল বলেছিলেন, 'শিক্ষার শেকড় তেতো হলেও এর ফল খুবই মিষ্ট।' তাই মনোভাবকে ইতিবাচক ধারায় পরিবর্তন করে কীভাবে জীবনে সুখী হওয়া যায়, এ প্রশ্নের উত্তর যুগে যুগে অনেক গবেষক খুঁজে ফিরেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রচুর বই, পত্রও লিখিত হয়েছে। এ বিষয়ে ডেল কার্নেগির লেখা বইগুলো ব্যাপকভাবে পঠিত ও সমাদৃত। কিন্তু তার লেখাগুলো ওহির (ঐশী জ্ঞান) আলোকে আলোকিত ছিল না বিধায় তা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করে ফায়দা হাসিল করতে পারে নাই। এমনকি ডেল কার্নেগি নিজেও তা থেকে চূড়ান্ত ফায়দা হাছিল করতে পারেননি। কারণ, তিনি নিজেই আত্মহত্যার মাধ্যমে জীবনাবসান করেছেন।
জন্ম ১৯৭০ সালের ১৬ জুলাই। ইসলামের বিখ্যাত সেনাপতি খালিদ ইবনে ওয়ালিদ (রা) এর বংশধর তিনি। মাত্র ৫০ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছেন আরব জাহানের বিশিষ্ট বক্তা এবং লেখক। তিনি তার বক্তৃতা এবং লেখনীর মাধ্যমে আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। হ্যাঁ! আমরা আর কারো কথা বলছি না, বলছি ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফীর কথা। দাম্মামে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর সৌদি আরবের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চতর পড়াশোনা করেন তিনি এবং রিয়াদের বাদশাহ সৌদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জন করেছেন পিএইচডি ডিগ্রি। বিখ্যাত হাদীস বিশারদ শায়খ মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল, শায়খ আব্দুল্লাহ ইবনে কুউদ, শায়খ আব্দুর রহমান ইবনে নাসের আল-বাররাক প্রমুখ ব্যক্তিবর্গকে শিক্ষক হিসেবে পেয়েছেন মুহাম্মদ আরিফী। প্রায় পনেরো-ষোলো বছর ইবনে বায রহ. এর সাথে থাকার সৌভাগ্য হয় তার। তার জীবনের মূল উদ্দেশ্য হলো আল্লাহর দাওয়াত দেওয়া। তাকে অনেক সময় ""দাওয়াত ইল্লাল্লাহ"" বলেও সম্বোধন করা হয়। তার বিভিন্ন স্থানে বক্তৃতা করার মূল কারণও এটি। বাজারে তার বক্তৃতায় অডিও-ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায় যার দ্বারা উপকৃত হচ্ছে পুরো মুসলিম বিশ্ব। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী বই রচনা করে চলেছেন মানবজাতির কল্যাণার্থে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমূহ প্রত্যেকটি বিক্রির সময় একটি আরেকটিকে ছাড়িয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। ড. মুহাম্মদ ইবনে আবদুর রহমান আরিফী এর বই সমগ্র হলো ভার্সিটির ক্যান্টিনে, সুখময় জীবন উপভোগ করুন, তুমি সেই নারী, নবী-চরিত্রের আলোকে: জীবন উপভোগ করুন, রাগ করবেন না: হাত বাড়ালেই জান্নাত, কিতাবুল ফিতান, রোজা ও হজ্জের পয়গাম, নারী যখন রানী, তোমাকে বলছি হে বোন, আপনার যা জানতে হবে, রামাদান আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক করুন, যেভাবে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকবেন ইত্যাদি।