এই বইটির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ডেটা সায়েন্সের সাথে পাঠকদের, বিশেষ করে তরুণ উদীয়মান শিক্ষার্থীদেরকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং এই সম্পর্কে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি করা। ডেটা সায়েন্সের বিভিন্ন ক্ষেত্রের অন্তর্নিহিত ধারণা, যুক্তি, সম্পর্ক এবং পদ্ধতিগুলোকে ব্যাখ্যা করার মাধ্যমে কিছু মৌলিক প্রশ্ন যেমন ডেটা সায়েন্স কী, কেন, কীভাবে এর সহজ উত্তর পাঠকের কাছে তুলে ধরা। ডেটা বিশ্লেষণ, মেশিন লার্নিং এবং পরিসংখ্যানগত মডেলিংয়ের মতো ডেটা সায়েন্সের মূল উপাদানগুলোকে এবং সংজ্ঞাগুলোকে গভীরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। ডেটা সংগ্রহ এবং প্রিপ্রসেসিং থেকে শুরু করে উন্নত বিশ্লেষণ পদ্ধতি, বিভিন্ন মেশিন লার্নিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পদ্ধতির ব্যাখ্যা, ব্যবহারিক টিপস, এবং R প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে কতগুলো আকর্ষণীয় ডেটা সায়েন্স প্রজেক্ট কেস স্টাডি তুলে ধরেছেন। বইটি শুধুমাত্র ডেটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কিত প্রাথমিক বিষয়বস্তু শেখার একটি হাতিয়ার হিসেবেই কাজ করবে না, সেই সাথে তথ্যগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে তথ্যের শক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য আগ্রহী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবেও কাজ করবে। এই বইটি চমৎকার ভাবে ডেটা সায়েন্সের বিশাল ল্যান্ডস্কেপ নেভিগেট করার জন্য একটি ব্যাপক রোডম্যাপ অফার করেছে, যা ডেটা সায়েন্সে কর্মজীবন বিকাশের অত্যন্ত আগ্রহী যেকোনো নবীন অথবা উদীয়মান শিক্ষার্থীকে ডেটা সায়েন্স সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে গভীরভাবে বোঝার ক্ষেত্রে আরো আস্থাশীল করে তুলবে। নতুন প্রজন্মের ডেটা সায়েন্স কেন্দ্রিক আকাঙ্ক্ষিত চিন্তাধারা এবং ক্যারিয়ার গঠনের শুরুর দিকের প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা থাকায় তাদের পেশা এবং কর্মজীবন বিকাশেও এই বইটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
ড. হাসিনুর রহমান খানের জন্ম ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭৭, দিনাজপুরে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ফলিত পরিসংখ্যান ও ডেটা সায়েন্সের অধ্যাপক। তিনি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। দীর্ঘ ১৯ বছর শিক্ষকতা জীবনে একটি বই এবং ৫০টি গবেষণাপ্রবন্ধ দেশী এবং বিদেশী নামকরা সাময়িকীতে প্রকাশ করেন। ১৫টিরও বেশী দেশী-বিদেশী গবেষণা অনুদান অর্জন করেন এবং নেতৃত্ব দেন। জনপ্রিয় R প্রোগ্রাম সফটওয়্যার এর জন্য ৬টি প্যাকেজ তৈরি করেন। সম্প্রতি করোনাকালীন সময়ে বাংলাদেশে করোনার প্রক্ষেপণ এবং গতি-প্রকৃতি নিয়ে অনেকগুলি গবেষণা চালান এবং নিয়মিত করোনা মহামারীর উপর বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়ায় আলোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখি করেন। এছাড়াও মহামারী শুরু হতে (৮ এপ্রিল, ২০২০) ২৫ নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত করোনার উপর পরিসংখ্যানিক বিশ্লেষণধর্মী ৯৬৩টি অনন্য সাধারণ দৈনিক বুলেটিন প্রকাশ করেন। গবেষণায় অসামান্য অবদানের জন্য অনেক দেশী এবং বিদেশী পুরস্কার লাভ করেছেন। যেমন ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞান অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড, পরপর দুই বছর ২০১৫ এবং ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক সোসাইটি ফর ক্লিনিক্যাল বায়োস্টাটিসটিকস-এর কনফারেন্স অ্যাওয়ার্ড ফর সাইন্টিস্ট। এছাড়াও ১২টিরও অধিক দেশে ২০টির বেশি সম্মেলনে গবেষণাকর্ম উপস্থাপন করেন। তার গবেষণার বিষয়বস্তু মূলত উচ্চমাত্রার তথ্যের জন্য পরিসংখ্যানিক মডেল, মেশিন লার্নিং, জীব-পরিসংখ্যান, জনস্বাস্থ্য এবং রোগতত্ত্ব।