সকল প্রশংসা সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর। রাসূলুল্লাহ (স), তাঁর পরিবার- পরিজন ও সাহাবিদের ওপর অবিরত সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক। যিনি দুঃখ-বেদনার মধ্য দিয়ে জীবন-যাপন করছেন বা যিনি সঙ্কটাপন্ন, এমন অবস্থার কারণে যিনি বিনিদ্র রজনী যাপন করছেন- এ বই তাঁর জন্য। এমন মনরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য কুরআন, হাদিস, মর্মভেদী বাস্তব ঘটনা, কাব্য, শিক্ষাপ্রদ-ঘটনা অবলম্বনে এই বই লেখা। এ বই আপনাকে সুখী, আশাবাদী হতে বলবে। যেভাবে যাপন করলে আপনার জীবন সজীব, সুন্দর ও হতাশামুক্ত হবে, এ বই কুরআন-হাদিসের আলোকে আপনাকে সেই নির্দেশনা দেবে। এ বই এমনসব ভুল নির্ণয় করবে, সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ না করাতে যেগুলো আমরা ভুলে যাই। মহান আল্লাহ যে বাস্তব জীবন পূর্বেই নির্ধারণ করে রেখেছেন, সে জীবনের বিপরীত পথে অটল থাকতে এ বই আপনাকে বারণ করবে। আপনার প্রতিভাকে উন্নত করা আপনার কর্তব্য; আপনার উচিত একটি ইতিবাচক মনোভাবের দিকে মনোনিবেশ করে জীবনের সমস্যা ও উত্থান-পতনের কথা ভুলে থাকা। কেননা, ইতিবাচক মনোভাব আশাবাদ ও সৌভাগ্যের দিকে নিয়ে যায়। এ বইয়ে আপনি নিম্নোক্ত বিষয়গুলো পাবেন- ১. এ বই আল্লাহর দয়া ও ক্ষমার কথা, আল্লাহর ওপর অকৃত্রিম বিশ্বাস স্থাপনের কথা, তকদিরে বিশ্বাস, বর্তমানকালের জীবন-যাপনের স্বরূপ এবং আল্লাহর অগণিত করুণার কথা স্মরণ করিয়ে দেবে। ২. এ বইয়ে দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা, দুঃখ-বেদনা, ব্যর্থ মনোভাব এবং হতাশা দূরীকরণের আপ্রাণ চেষ্টা আছে। ৩. কুরআনের আয়াত, রাসূল (স)-এর বাণী, গল্প, শিক্ষামূলক রূপক কাহিনি, কবিতা এবং বিজ্ঞজনদের উক্তি থেকে যা কিছু এ গ্রন্থের আলোচ্যবিষয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ মনে হয়েছে, আমি তা-ই সংগ্রহ করেছি। এ বইটি আপনাকে সুখের দিকে এগিয়ে নেয়ার এক আন্তরিক আহ্বান। ৪. এ বই শুধু মুসলিমদের জন্যই নয়; এটি ধর্ম, বর্ণ-নির্বিশেষে সকল পাঠকের জন্যই উপযোগী। এটি লেখার সময় আমি প্রত্যেকের সাধারণ আবেগ ও অনুভূতির কথা বিবেচনা করেছি। এসত্ত্বেও এ বই সহজাত সত্য ধর্ম ইসলামের ওপর ভিত্তি করেই লিখেছি। ৫. আপনি এ বইয়ে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের লেখক ও দার্শনিকদের প্রবাদ-প্রবচন পাবেন। ৬. কোনোরূপ বাধা-বিপত্তি ছাড়া গভীর মনোযোগের সাথে পাঠ করার জন্য বইটিতে আমি কোন টীকা সংযোজন করিনি; এতে করে বইটি পাঠকের জন্য অধিকতর সহজ ও সাবলীল হয়েছে। ৭. এ বইয়ের সর্বাংশে বিভিন্নভাবে কতিপয় আলোচনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। তা আমি ইচ্ছে করেই করেছি, যাতে বিশেষ আলোচনাগুলো পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে পাঠকের মনে দৃঢ়বদ্ধ হয়ে যায়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, পাঠক সঠিক বিচার করবেন এবং সত্য ও সঠিক জ্ঞানের দিকে পাঠকের চিন্তা-চেতনা ধাবিত হবে।
Dr. Ayez Al Karni ১৩৭৯ হিজরী মোতাবেক ১৯৫৯ ইং সনে দক্ষিণ সৌদী আরবের করন জেলার আশ-শুরাইহ নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন্ অল্প বয়সেই তিনি পবিত্র কুরআনের হিফজ সম্পন্ন করেন। মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন রিয়াদে। উচ্চতর পড়াশুনা করেন প্রাদেশিক শহর আবহায়। একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি তাঁর ব্যক্তিগত অধ্যায়নের পরিধি সুবিস্তৃত ও অতুলনীয়। ড. আয়েয আল করনী এ পর্যন্ত বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন। সেগুলোর মধ্যে আত-তাফসীরুল মুয়াসসার, আল-ফিকহুল মুয়াসসার, আশিক, লা তাহযান বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ড. করনী দাওয়াতের উদ্দেশ্য লেখালেখি, বক্তৃতা-বিবৃতি ও গ্রন্থরচনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, টুইটার, গুগলপ্লাস ও ইউটিউব ইত্যাদিতেও সমানভাবে সক্রিয়। তাঁর বক্তৃতার ক্যাসেটের সংখ্যা হাজার ছড়িয়ে গেছে।