বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা আমাদের অনেকেরই জানা নেই, শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্করই প্রথম বাঙালি যিনি চায়ের স্বাদ গ্রহণ করেছিলেন। সে প্রায় এক হাজার বছর আগের কথা। মিছরির আবিষ্কারক মিসর-একথাই বা ক’জন জানে! আর্যরা ভারতে আসার আগে পান চোখে দেখেনি। গুয়া—যাকে আমরা সুপারি বলে চিনি, নামটি কিন্তু দিয়েছে প্রাচীন আরব বণিকরা। তামাক ভারতের নিজস্ব সম্পদ নয়, ভারতে এটি নিয়ে এসেছে পর্তুগিজরা। আফিম নিয়ে চীনের সঙ্গে যুদ্ধ বেধে গিয়েছিল ব্রিটিশদের। নুনের চোরাচালান রােধ করতে ইংরেজরা ভারতে সৃষ্টি করেছিল এক অভিনব কাটার বেড়া। লঙ্কা ছাড়াই ভারত পাঁচ হাজার বছর চলেছে। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আমলে লঙ্কা আমাদের দেশে নিয়ে আসে পর্তুগিজরা। ভাস্কো ডা গামা তাঁর প্রথম অভিযানের সময় ভারত থেকে যে পরিমাণ মসলা নিয়ে গিয়েছিলেন তাতে অভিযানের খরচের ছয় গুণ উঠে গিয়েছিল। আমের ইংরেজি ম্যাঙ্গো হয়েছে তামিল মানকা থেকে। এমনি সব তথ্য রয়েছে বইটিতে। বিভিন্ন পশুপাখির নাম ও এদের প্রতিশব্দ বৈয়াকরণরা কিভাবে ব্যাখ্যা করেছেন তাও জানা যাবে। এই সঙ্গে তথ্য মিলবে সংস্কৃত পণ্ডিতরা বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি শব্দকে উপনয়ন দিয়ে কিভাবে সংস্কৃত বা তৎসমের কাতারে নিয়ে এসেছেন। টোব্যাকো বা তামাককে তাম্রকূটে পরিণত করা চাট্টিখানি কথা নয়!