সাদাসিধে কথাসামান্য চল্লিশ বছর আহম্মদ হোসেন বাবুকে চিনি। একজীবনে এ অনেক সময়। মাঝখানে সে প্রায় তিরিশ বছর আমেরিকায় ছিল। ওখানে যাওয়া এবং বহু বছর পর ওর ফিরে আসা আমার কাছে কষ্টকল্পিত। নেপথ্যে অনেক স্বপ্নভঙ্গ ও বেদনার ক্ষয় ও ক্ষরণ। কোন ঘাটেই বিঁধলো না তার গিরাফি কিংবা লগি। আহারে ভ্রাম্যমাণ চারণ-মাঝি। এতোকিছু বিপত্তি সত্বেও বাবু’র কবি হয়ে ওঠা। ওর বারোটা কাব্যগ্রন্থ। সবগুলোই আমি পাখির চোখে পড়েছি। সে ক্ষেত্রে আমার বিমুগ্ধতা। ওর মতো ভাগ্যান্বেষী লড়াকুরা স্বভাবত জাগতিক প্রাচুর্যের প্রতি মোহগ্রস্ত হয়। কিন্তু সে ঠিক তার বিপরীত। তার বিস্তৃত যে অন্তরপ্রসারতা, যে আকাশছোঁয়া উচ্চবিত্ত মন, তাতে সে কবি হিসেবে একজন বিস্ময় মানুষ। এই পদ্য লিখতে লিখতে হঠাৎ তার গল্পগ্রন্থ লেখার খবর। মেঘ না চাইতে বৃষ্টির মতো আনন্দ। টানাগদ্য আর গল্প, এই মনন ও সৃজনশীল ধারার দুটো কাজই বড়ো শক্ত। তবে কবিদের হাতে গদ্য-গল্প দুটোই কেন যেনো সরেস ও ঝরঝরা হয়। বাবু’র গল্প নির্মিতিতে সেই সত্য উদ্ভাসিত হবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস। এর চেয়ে বেশি আগ বাড়িয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। কেননা ওর একটা গল্পও চাক্ষুষ করা হয়নি আমার। অতএব অপেক্ষমাণ তীর্থের কাক হওয়া ছাড়া গতি নেই। আমার ক্ষুধাও আছে, লোভও কম নয়। সাধু। বিলু কবীর