প্রকৃতির মতোই, জীবনও প্রায়ই আমাদের পক্ষে কাজ করে, এমনাক যখন প্রতিকূলতা, অস্বস্তি আর পরিবর্তনের মুখোমুখি হই তখনও। দাবানল যেমন নতুন বীজের উদ্দ্গম ঘটিয়েও নতুন বৃক্ষের জন্ম দিয়ে প্রাণী ও উদ্ভিদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ প্রশস্ত করে, আমাদের মনও ইতিবাচক বিভাজন নামে ধারাবাহিক একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যায়, যখন নিজের সম্বন্ধে নিজের ধারণাকে প্রকাশ ও নতুন করে আবিষ্কার করি। আমরা জানি, প্রকৃতি তার পরিসীমায় সবচেয়ে বেশি ঊর্বর ও বিস্তারণশীল, যেখানে এক জলবায়ু অন্য জলবায়ুর সঙ্গে মেশে। একইভাবে নিজেদের প্রান্তসীমায় পৌঁছালে আমরাও রূপান্তরিত হই, যেহেতু স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা বা 'কমফোর্ট জোন' ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়। জীবনের নানা সমস্যা থেকে দৃষ্টি ফেরানোর জন্য যখন নিজেদের ওপর আর নির্ভর করতে পারি না, তখন মনে হয় আমরা বোধহয় সাধ্যের শেষ সীমায় পৌঁছে গেছি। বাস্তবতা হচ্ছে, এটি তখনই ঘটে যখন দীর্ঘদিন ধরে জমে থাকা সমস্যাগুলোর প্রকৃত স্বরূপ বুঝতে পারি আমরা। ভেঙে পড়া অনেকসময়ই নতুন করে জেগে ওঠার ঠিক আগের মুহূর্তে ঘটে, ঠিক যেভাবে নক্ষত্রের বিস্ফোরণ থেকে মহানক্ষত্রের জন্ম হয়। ভূমির দুটি অংশ যেভাবে পরস্পর একত্রিত হয়ে পর্বতে রূপ নেয়, আপনার পর্বতেরও জন্ম হবে পরস্পরবিরোধী, তবে সহাবস্থানকারী দুটো প্রয়োজন থেকে। নিজের চেতন ও অচেতন-দুটো অংশের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপন করে জন্ম দিতে হবে সেই পর্বতের। একটিতে আছে সেই অংশ যেটি আপনার চাওয়া সম্বন্ধে সচেতন, অন্যটি জানে না কেন এখনও নিজেকে পেছনে টেনে ধরে রেখেছেন আপনি। ঐতিহাসিকভাবে, 'পর্বত'কে ব্যবহার করা হয়েছে মানুষের আধ্যাত্মিক জাগরণ, ব্যক্তিগত বিকাশ এবং অবশ্যই অনতিক্রম্য বাধার রূপক হিসেবে। প্রকৃতির অনেক কিছুর মতোই, নিজেদের সর্বোচ্চ সম্ভাবনার স্ফূরণ ঘটাতে
'ওয়ান হান্ড্রেড ওয়ান এসেজ দ্যাট উইল চেঞ্জ দ্য ওয়ে ইউ থিংক', 'দ্য মাউন্টেইন ইজ ইউ', 'দ্য পিভট ইয়ার'-সহ অনেকগুলো বেস্টসেলিং বইয়ের লেখক ব্রিয়ানা উইস্ট। এ পর্যন্ত দশ লক্ষের বেশি বিক্রি হয়েছে তাঁর বইগুলো, অনূদিত হয়েছে চল্লিশটির বেশি ভাষায়।- একসময় কাজ করেছেন সাংবাদিক হিসেবে। ফোর্বস ও টিন ভোগ-সহ নামীদামী পত্রিকায় লিখেছেন। আত্ম-অনুসন্ধান ও মেডিটেশনের ওপর সৃজনশীল লেখালেখিও করেছেন। পর্যায়ক্রমে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে যায় তাঁর লেখা, উপকৃত করে লক্ষ কোটি মানুষকে। বর্তমানে 'থট ক্যাটালগ' নামে একটি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার ব্রিয়ানা উইস্ট, যেটি তাঁর বই ও অন্যান্য লেখালেখি প্রকাশ করে থাকে। বিশ্বজুড়ে নানা প্রতিষ্ঠান ও সম্মেলনে বক্তা হিসেবে নিয়মিত আমন্ত্রিত হন তিনি।