সহৃদয় পাঠকের ভালোলাগা এবং আন্তরিকতার ফসল আমার এই তৃতীয় সংস্করণ। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি চলচ্চিত্র নির্মাতা অনিন্দ আতিক তৃতীয় সংস্করণ প্রসঙ্গে আমাকে তার অভিমত ব্যক্ত করে। পরবর্তীতে ২০২১ সালে কুষ্টিয়া রবীন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ইমাম মেহেদী, ১৯৭১ গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ জাদুঘর ট্রাষ্টের অধীনে গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালনায় রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত পি জি ডি কোর্সের মাঠ পর্যায়ের গবেষণা, কুষ্টিয়া শহরের ‘কোহিনুর ভিলা’ গণহত্যা ইতিহাস অনুসন্ধান ও তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনে কুষ্টিয়া আসে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পঞ্চাশ বছর পরে এসে গণহত্যার ইতিহাস অনুসন্ধানে পর্যাপ্ত তথ্যের অভাবে সে নিরাশ হয়ে ফিরে যায়। ড. মুনতাসীর মামুন তখন তাকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে বলেন। কথা প্রসঙ্গে আমি আমার ‘একাত্তরে আমি’ বইটি তাকে দেই। বইটি পড়ে তার অভিমত, লেখাটি আমি দ্রুততার সাথে শেষ করেছি। এ বিষয়ে ইমাম মেহেদী সমকালীন পরিবেশ এবং পারিপার্শ্বিকতাকে বিশেষভাবে তুলে ধরা প্রসঙ্গে আমাকে তার খোলামেলা মতামত প্রকাশ করে। জীবনের শেষ প্রান্তে এসে আমি তৃতীয়বারের মতো আবার ফিরে যাই একাত্তরের সেই কষ্টকর দিনগুলোতে। তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশের ক্ষেত্রে সর্বতোভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন আমার পরম শুভাকাক্সক্ষী ম. মনিরুল ইসলাম ও মো. আশরাফ আলী, প্রভাষক, সরকারি মহিলা কলেজ, কুষ্টিয়া ও প্রচ্ছদ শিল্পী মোস্তাফিজ কারিগর। শত ব্যস্ততার মাঝেও এই উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইতিহাস গবেষক বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন ভূমিকা লিখেছেন, এজন্য তাঁদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।