রকিবুল হাসান গবেষক-প্রাবন্ধিক-কথাশিল্পী ও কবি। তিনি বহুমাত্রিক লেখক। ফলে কবিতায়ও তাঁর গবেষক সত্তার অনুসন্ধিৎসু চোখ, প্রাবন্ধিকের মননশীলতা, কথাশিল্পীর আখ্যানবর্ণ️নার প্রচেষ্টার ছাপ থাকে। তাঁর মাজিভাই কবিতাগ্রন্থটির কবিতাগুলোয়ও উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর দাগ পড়েছে। এই বইয়ে কবির শৈশবের গ্রাম, নিসর্গ️ ও স্বজনদের স্মৃতিরোমন্থন রয়েছে। স্মৃতির বিপুল সমুদ্র, কল্পনার বিশাল আকাশের সমস্ত ঔদার্য️ মন্থন করে তিনি এই বইয়ের কবিতাগুলো লিখেছেন। রাজনীতি, দেশপ্রেম, মানবপ্রেম, আধ্যাত্ম্যচেতনা, কৃষিভিত্তিক সমাজ, নগরায়নের নেতিবাচক ফলের বিচিত্র বিষয়-বৈভবে এই বইয়ের কবিতাগুলো পরিপূর্ণ️। আবার ছন্দ প্রয়োগেও নিরীক্ষার ছাপ রয়েছে। অক্ষরবৃত্ত-মাত্রাবৃত্ত-স্বরবৃত্তে যেমন কবিতা লিখেছেন, তেমনি অক্ষরবৃত্তাশ্রয়ী গদ্যছন্দেরও স্বাক্ষর রেখেছেন। আবার অন্ত্যমিলের দিক থেকে সমীল চরণ যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে অমিল চরণও। চিত্রকল্প-উপমা-অনুপ্রাসের সমন্বয়ে এই বইয়ের কবিতাগুলো কবির কণ্ঠস্বাতন্ত্র্যে প্রোজ্জ্বল। যাঁরা প্রকরণসিদ্ধ-ছন্দবদ্ধ রচনাকেই কবিতা মানেন, এই কবিতাগ্রন্থ তাঁদের ভালো লাগবে বলেই দৃঢ় বিশ্বাস
রকিবুল হাসান কবিতা লিখছেন বহু বছর ধরেই। তাঁর কবিতার বিষয় মানুষ, প্রকৃতি, প্রেম এবং সম্পর্ক। আদ্যপান্ত কবি বলেই পেশাগত এবং ব্যক্তিগত বিপুল ব্যস্ততার মাঝেও তিনি। এড়াতে পারেননি কবিতা লেখার তাগিদ। বন ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ রকিবুল হাসান ছাত্র জীবন থেকেই চিন্তায়, মননে ছিলেন মানুষ ও প্রকৃতির মুক্তিতে নিবেদিতপ্রাণ, তাইতাে পেশাগত জীবনে বাংলাদেশের বন প্রকৃতির। পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ নিয়ে সােচ্চার কণ্ঠ তিনি।