পিস টিভিতে রমাদানুল মুবারক উপলক্ষে প্রচারিত হয়েছিল বিশেষ ধারাবাহিক অনুষ্ঠান, সে অনুষ্ঠান ছিল জনাব ডাক্তার আব্দুল করিম জাকির নায়েককে ঘিরে। অনুষ্ঠানে তাকে রমাদানের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন করা হয়, যেমন রমাদানের প্রাথমিক প্রস্তুতি কি? রমাদানের প্রস্তুতির জন্য রাসূল সা. কি করতেন? প্রত্যেক রোযার সময় কি নিয়ত করতে হবে? কাদের জন্য রোযা ফরজ আর কাদের জন্য ফরজ নয়? রমাদান মাসে যেসব কাজ ফরজ রোযা কে নষ্ট করে সেগুলোর কি কোন তালিকা আছে? রোযা অবস্থায় কি টুথপেস্ট ব্যবহার করা জায়েজ? এমন প্রত্যেক প্রশ্নেরই স্বভাব সুলভ ভঙ্গিতে তিনি উত্তর প্রদান করেন। যা প্রত্যেক দর্শককেই মুগ্ধ করেছিল, সে সাথে যাকাত-ফিতরাসহ আরো জীবন ঘনিষ্ঠ এবং রমাদানের সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলোও আলোচিত হয়েছে গুরুত্ব সহকারে। ডাক্তার জাকির নায়েকের রমাদান বিষয়ক সে উত্তরগুলো ত্রিশটি অধ্যায়ে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। ''প্রশ্নোত্তরে রমাদান'' বইটি অধ্যায়ন করলে পাঠক রমাদান সম্পর্কে খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে উক্ত বই থেকে রমাদান সম্পর্কে জানার,বুঝার এবং আমল করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
জাকির আবদুল করিম নায়েক ১৮ অক্টোবর ১৯৬৫ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মুম্বাইয়ের সেন্ট পিটার্স হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। এরপর তিনি কিশিনচাঁদ চেল্লারাম কলেজে ভর্তি হন। তিনি মেডিসিনের ওপর টোপিওয়ালা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড নাইর হসপিটালে ভর্তি হন। অতঃপর, তিনি ইউনিভার্সিটি অফ মুম্বাই থেকে ব্যাচেলর অব মেডিসিন সার্জারি বা এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি ইসলাম-ধর্ম প্রচারের কার্যক্রম শুরু করেন এবং আইআরএফ প্রতিষ্ঠা করেন।নায়েকের স্ত্রী, ফারহাত নায়েক, ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের নারীদের শাখায় কাজ করেন। ডাঃ জাকির বলেন তিনি আহমেদ দিদাতের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছেন, যার সাথে তিনি ১৯৮৭ সালে সাক্ষাত করেন। ডাঃ জাকিরকে অনেক সময় ‘‘দিদাত প্লাস’’ বলা হয়, এই উপাধি দিদাত নিজে দেন। এছাড়াও তিনি মুম্বাইয়ের ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং ইউনাইটেড ইসলামিক এইডের প্রতিষ্ঠাতা, যা দরিদ্র ও অসহায় মুসলিম তরুণ-তরুণীদের বৃত্তি প্রদান করে থাকে। ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে তাকে "পিস টিভি নেটওয়ার্কের পৃষ্ঠপোষক ও আদর্শিক চালিকাশক্তি" হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। যে চ্যানেলটি "সমগ্র মানবতার জন্য সত্য, ন্যায়বিচার, নৈতিকতা, সৌহার্দ্য ও জ্ঞানের" প্রচারের লক্ষ্যে কাজ করে বলে এর ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৬ সালে, একটি প্রেস কনফারেন্সে, জাকির নিজেকে নন-রেজিস্ট্যান্ট ইন্ডিয়ান (এনআরআই) বা বছরের অর্ধেকের বেশী সময় প্রবাসে বসবাসকারী ভারতীয় হিসেবে দাবি করেন।