গভীর ম্যানগ্রোভ বনে হাঁটছেন কবি ঋজু রেজওয়ান। তিনি দিগ্ভ্রান্ত বটেন, কখনোসখনো কাব্যনির্মিত দূরবীন চোখে... প্যানারমাময় পথ খোঁজেন এক পৃথিবী প্রেম। এই প্রেম সৃষ্টিতত্ত্বের গভীরতার সঙ্গে অন্ত্যজ চোখের সামনে এসে হাজির হয়, কখনও হাজির হয় রুদ্রতাপে কখনও দিগন্তের নীল নিলক্ষায় এসে হাজির হয় বঙ্গোপসাগরের নীলাব্জ উপত্যকায়। তাঁর কবিতার শরীর শুধুই ছান্দিক ইন্দ্রজালের ছড়াছড়ি। শব্দের সংসারী কবির ঘর, গেরোস্তালীছন্দ, এলগরি, মাইথলজি ও রূপকল্পনায় ভরপুর। কবি ক্রমশ এগিয়ে চলেন নতুন কিছু রচনার প্রয়াসে। কবি স্তম্ভিত হন সৃষ্টিতত্ত্বে; পথ খুঁজেন! শূন্যকে ধরার চেষ্টায় চূড়ান্ত লক্ষ্যভেদী হয়ে ওঠেন। ‘ফলিত আহ্লাদ’ কবিতায় বলছেন, ‘নক্ষত্র সমান দিন, দ্বারে.../ মাঝবয়সী আতার অবাক জঙ্গম’। তিনি এখানে সপ্তর্ষিমণ্ডল ছাপিয়ে মধ্যবয়সে এসে মধ্যগগণে উড্ডীন। ‘কবিতা’ কবিতায় বলছেন, ‘কবিতা চিনিনি ভালো, সারসে উড়ান/ নুয়ে থাকে শূন্যতায় ঋষিজ জোনাক’। কবি নিরলসভাবে শূন্যকে ধরার চেষ্টা করছেন। ‘দিদার’ কবিতায় কবির ভাষ্যে আবারও সুনসান নিরব শূন্যতাকে গর্ভধারণ করার প্রয়াস দেখি, ‘এখানেই দাঁড়িয়ে মাধব খাঁ খাঁ শূন্যের জংশন’ কবির হৃদয়ের এই ইতিউতি হৃদয়ঙ্গম খুবই সহজ সাধ্য। তবে কবির পাখোয়াজী শব্দযোজনা একধরণের রণদামামা বাজিয়েছে, ‘জ্যা ~ মন নাচমিতি এবং জলপ্রহর’ কবিতাগ্রন্থের ভেতর। এটাই ঋজুর কবিতার স্টাইল বা গঠনশৈলী। কবি ও কথাসাহিত্যিক ওয়াহিদুর রহমান শিপু