সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তা' আলার। যিনি রাজা ধিরাজ—আপন কৃপায় আমাদেরকে নসিব করেছেন ঈমান। বানিয়েছেন সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর অনুসারী। করেছেন তাঁর পূর্ণাঙ্গ জীবনচরিত আমাদের জন্য সংরক্ষণ। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক বিশ্ব মানবতার অগ্রদূত, মুক্তির কান্ডারী, খাতামুন্নাবিয়্যীন, সায়্যিদুল মুরসালিন, হযরত মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহি সাল্লাল্লাহু আলাইহিস সালামের উপর। যিনি আল্লাহর দেওয়া জীবন বিধান নিখুঁতভাবে বাস্তবায়ন করে রেখে গেছেন আপন উম্মতের তরে চলার পথের উজ্জ্বল নির্দেশিকা। যাতে নেই কোন ত্রুটি ও অপূর্ণতা, অস্পষ্টতা ও দুর্বোধ্যতা। এবং তাঁর হাতে গড়া জ্যোতির্ময় সেই কাফেলার উপর, যাদের অক্লান্ত শ্রম ও সাধনা, ত্যাগ ও কুরবানির মাধ্যমে হিদায়তের আলোয় অবগাহন করে ধন্য হয়েছে মানব সমাজ। বিদূরিত হয়েছে ভ্রান্তির নিকষ কালো আধাঁর। অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যৎতে লেখা লেখির প্লাটফর্মে যত ইসলামি বই পুস্তক লেখা হয়েছে/হচ্ছে বা হবে। সবকিছুই ঐশী বাণী আল কোরআন ও প্রিয় নবী (সাঃ) এর হাদিসের সার নির্যাস। কোরআন ও হাদিস এমন জ্ঞানের ভান্ডার—যার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে আজ পর্যন্ত প্রান্ত ছেঁাতে পারেনি, কোন লেখক, গবেষক, মনিষী, বা স্কলাররা। কেয়ামত পর্যন্ত পারবেও না। বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর তিরোধানের পর থেকে হাজারো কিতাব রচিত হয়েছে, লেখা হয়েছে /হচ্ছে শত সহস্র হাজারও অজস্র বই পুস্তক ও পুস্তিকা। সীমাহীন লেখক মারা গেছে—এখনো শত সহস্র লেখক অবিরাম ও অন্তহীন করে যাচ্ছে লিখনীর এই খেদমত। কিন্তু একথা চিরন্তন সত্য যে, রাইটিংয়ের এই ওয়ে—হয়নি আজও শেষ, খুঁজে পায়নি কেউ তার অন্ত। এগুতে পারেনি কেউ তার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। এ যেন এক উপসংহারহীন সূচনা। প্রান্তহীন ফ্লাইওভার। কিনারাহীন আটলান্টিক মহাসাগর। যার শেষ প্রান্ত ছোঁয়ার কল্পনা করাও দুস্কর। কেয়ামত পর্যন্ত চলমান থাকবে লেখালেখির এই ধারা। অব্যাহত থাকবে কলমের কালি কোরআন ও হাদিসের সঠিক রাজ ও রহস্য জনসম্মুখে প্রকাশের লক্ষ্যে, সর্বসাধারণকে দ্বীনের দিশা দেওয়ার প্রত্যাশায়। বলবৎ থাকবে কলমের খোঁসা ইসলাম বিরোধী, খোদাদ্রোহী, অপশক্তির বিরুদ্ধে বাঁধা হয়ে। সদা জাগ্রত থাকবে লেখালেখির মিলনায়তনে কলমের একদল সৈনিক মোড়লদের পথে সিকান্ধরী প্রাচীর হয়ে। কোরআন ও হাদিসের জ্ঞানে যারা হবে অভিজ্ঞ। সোসাইটি সিস্টেম সম্পর্কে হবে অবগত। যাদের থাকবে প্রগতিবাদীদের সুক্ষ্ম ষড়যন্ত্র পর্যবেক্ষণের দুরদর্শিতা। থাকবে তাদের অপশক্তির ধূম্রজাল ছিন্ন করার মনোবল ও সৎ সাহস। তারা হবে আল্লাহ প্রদত্ত তৌফিক, হিম্মত, সাহস ও দুরদর্শিতার অধিকারী। সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ! লেখালেখির এই সিচুয়েশনে জাতির উদ্দেশ্যে কলম হাতে নেওয়ার মত যতটুকু যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, দক্ষতার পাশাপাশি এনার্জি, সাহস, শ্রম সাধনা, ও মনোবলের প্রয়োজন—তা অধমের মধ্যে কিঞ্চিৎ পরিমাণ ও বিদ্যমান না। এতদসত্বেও মা—বাবা, আসাতেযায়ে কেরাম, হিতাকাঙ্ক্ষী, বন্ধু বান্ধবসহ সহপাঠীদের দু'আ এবং মোটিভেশন নিয়ে "Wongshadhsarap stormypardhash jhunghabs djabah jjab ohabharfbshang atab ghadshabf বিধর্মীদের নগ্ন ছোবলে ইসলামি সমাজ ব্যবস্থা" বইটির মাধ্যমে লেখালেখির প্ল্যাটফর্মে প্রথম পথ চলা শুরু করি। আলহামদুলিল্লাহ! ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ! রাব্বে কারীমের অসীম দয়া ও কৃপায় পাঠক মহল থেকে অনুপ্রেরণা ও হিতাকাঙ্ক্ষীদের পক্ষ থেকে যথেষ্ট উৎসাহের দরুন অযোগ্যতাকে পশ্চাত্যে রেখে এই দ্বিতীয় পুস্তিকা নিয়ে কলম ধরার সাহস পেয়েছি। একথা অন্তর দিয়ে জানিও মানি যে, আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় সমাজ, রাষ্ট্র, ও ইসলামের হয়তো কিঞ্চিৎ পরিমাণ খেদমত ও হবেনা। কিন্তু অন্তরে আকষ্মিক উদ্ভব হয়েছে— সে মহিলাটির কথা। যিনি মিসরের বাজারে ক্রয় করতে গিয়েছিল আল্লাহর নবী হযরত ইউসুফ (আঃ) কে সামান্য সুতো নিয়ে। কেউ তাকে জিজ্ঞেস করল—তুমি কি এই সামান্য সুতো দিয়ে ইউসুফ (আঃ) কে খরিদ করতে পারবে? প্রতোত্তরে বৃদ্ধা মহিলাটি বলল, আমার মন বলে পারব না''।