প্রকৃতিনিষ্ঠা, প্রেমায়ত অত্মপ্রেরণা, বিরহবিকার, নস্টালজিয়া আর নিঃসঙ্গতাই মোটা দাগে অধিকার করে রাখে কবি সানজিদ সকাল-এর লিখন পরিধি। উপমা, ভাষাবুনন, নতুনতার অন্বেষণ অর অঙ্গশীলন্দ্রে ঐশ্বর্যে সকাল-এর কবিতায় এসেছে অন্যরকম নান্দনিকতা। তিনি প্রকৃতি ও মানুষের মাঝেই নিজের কষ্ট, প্রেম ও দ্রোহ খুঁজে পান। মনের মাল্টিকালার কষ্ট ও নস্টালজিয়ায় পরিপূর্ণ এক ভিন্ন মাত্রার কবিতা রচন। মেরে তার ভিন্নতা জানান নিয়েছেন। গাছ, পাখি, মেঘ, পাহাড়, পিঁপড়া, প্রজাপতি ও প্রকৃতির বিভিন্ন অনুষঙ্গের সঙ্গে তার কবিতার অবাধ বিচরণ। পোড়া কাঠের মতো দুঃখবিলাসী কবির নস্টালজিয়ায় পরিপূর্ণ বিনির্মাণ 'কষ্টালক্তিক'। নতুন শকবুনন ও ব্যতিক্রমী চিন্তার কারণেই তরুণ কবিদের মধ্যে সুদৃঢ় অবস্থান করে নিয়েছেন তিনি। ব্যক্তিমানুষের অবরুদ্ধ সংবেদ প্রকাশকামিতার কাছে মাথা কুটে অপ্রকাশের আবরণ ঘুচিয়ে দিতে চান তিনি। আচারণার অনর্গল ব্যাকুলতা তার কবিতায় যেভাবে মুখ খোলে, তাতে সরলতার বিনীত উত্থাপন আছে, সোজাসাপ্টা বয়ানের অকপ্টতাও গরহাজির হয় দ্বিধা-থবোঘরে কবির এই আরতিপত্রে সে মানবিকতা খুঁজে, বিশ্বাসযোগ্য কোনে মানুষ খুঁজে, ভালোবাসা খুঁজে। প্রকৃতিপ্রেম ও নস্টালজিয় চির জাগরুক হয়ে থাকুক, দুঃখগুলো ফুল হয়ে ফুটে উঠুক কবিতার প্রতিটি রন্ধে রন্ধে- এটাই কবির চাওয়া!