‘আমার পাতে পোয়াতি মাছ’- এ কি চিত্রকল্প না নিদারুণ রিয়েলিটি? যেন বা নিজের বিরুদ্ধেই দাঁড়িয়ে যায় কবিতা! কবিতার সেই সক্ষমতা থাকে। কবিও এমন, নিজের ফেলা বড়শিতে শিকার করা মাছের মৃত চোখের ভেতর তাকিয়ে দেখে নিতে চান গোটা একটা জীবন। আত্মদ্বন্দ্ব থেকে কিছুতেই তাঁর মুক্তি নেই। এভাবেই সাদা পৃষ্ঠা কালো করে উঠে আসে একটির পর একটি কবিতা। জীবনের কত অনির্ণেয় পাদদেশ, সেখানে হাঁটতে হাঁটতে কবি কোথাও যাচ্ছেন, পাঠককে পরম বন্ধুর মতো টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, গন্তব্যে কি ভালোবাসা আছে? জীবনের পিপাসা মেটানোর মধু আছে? নাকি নিঃসঙ্গতা জাপ্টে ধরবে কবিতা, যেমন ধরেছে কবিকে? যাপন-অভিজ্ঞান থেকে উঠে আসা নৈঃশব্দ্য, শব্দ, বাক্য ছড়িয়ে যায়, জড়িয়ে যায়, কবিতায়। এবং তা পাঠকের ভালো লাগে। নীল পাঁজর পুঁতেছি সরু গলিতে- কাব্যগ্রন্থের ভেতরে ঘুমিয়ে আছে জিজ্ঞাসা-আনন্দ-বিষাদ মোড়ানো অসংখ্য কবিতা। পাঠকের অন্তরলালিত চোখে পড়ামাত্রই কবিতাগুলোর ঘুম ভাঙবে। নীল পাঁজর পুঁতেছি সরু গলিতে- কাব্যগ্রন্থের কবি নাদিম মাহমুদ। কবিতাগুলো পাঠ করতে করতে পাঠক আবিষ্কার করতে পারবেন নিজেকে। আনন্দ হবে, বিষাদ আসবে, জিজ্ঞাসা বাড়বে জীবনের। জয় হোক কবির, জয় হোক বাংলা কবিতার।