মুহাম্মাদ ইবনু সালিহ আল-উসাইমীন রহিমাহুল্লাহর অভিমত সকল প্রশংসা বিশ্বজগতের রব আল্লাহর জন্য, সালাত ও সালাম নাযিল হোক আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তার পরিবার পরিজন, তার সাহাবীগণ এবং বিচার দিন অবধি ইহসানের সাথে তাদের অনুসারীদের ওপর। অতঃপর, ‘তাইসীরুল কারীমির রহমান ফী তাফসীরি কালামিল মান্নান’ নামে রচিত আমাদের শাইখ আব্দুর রহমান নাসির আস-সাদী রহিমাহুল্লাহর তাফসীরটি সর্বোত্তম তাফসীরের অন্তর্ভুক্ত। এই তাফসীরের বেশ কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ১. এই তাফসীরের বর্ণনা খুবই সহজ ও স্পষ্ট, যেখানে জ্ঞানে পারদর্শী ব্যক্তিরাসহ অন্যান্য মানুষরাও এটি বুঝতে পারে। ২. গুরুত্বহীন কথা থেকে বিরত থাকা হয়েছে ও যেই লম্বা আলোচনাতে পাঠকের সময় নষ্ট ছাড়া এবং চিন্তা ভাবনাকে অস্থির করা ছাড়া অন্য কোন উপকার নেই এমন আলোচনা করা থেকে বিরত থাকা হয়েছে। ৩. মতভেদ উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকা হয়েছে। তবে যেই মতভেদগুলো শক্তিশালী, যেগুলো বর্ণনা করা প্রয়োজন এমন মতভেদ বর্ণনা করা হয়েছে। পাঠকের দিক থেকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য, যাতে করে একটি বিষয়ের ওপরেই তার বুঝ দৃঢ় হয়। ৪. আল্লাহর গুণাবলি সম্পর্কীত আয়াতগুলোতে সালাফগণের পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। তাতে কোন বিকৃতি ও অপব্যাখ্যা করা হয়নি, যেগুলো আল্লাহ তাআলার উদ্দেশ্যের বিরোধী। সুতরাং আকীদার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ৫. আয়াতগুলো যেসব উপকারিতা ও বিধি বিধান প্রমাণ করে সেগুলোর সূক্ষ্ম ইস্তেমবাত করা হয়েছে। কিছু আয়াতের তাফসীরে এই বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়েছে। যেমন সূরা আল-মায়েদার ওযূ সম্পর্কীত আয়াতে, যেখানে পঞ্চাশটি বিধান ইস্তেমবাত করা হয়েছে। অনুরূপভাবে সূরা সোয়াদে দাউদ ও সুলায়মান আলাইহিমাস সালামের ঘটনাতেও এই বিষয়টি সুস্পষ্ট হয়েছে। ৬. এটি একটি তাফসীরের কিতাব হওয়ার পাশাপাশি উত্তম চরিত্র শিক্ষা দেওয়ারও একটি বই। যেমনটি এই বিষয়টি সূরা আল-আরাফের ১৯৯ নম্বর আয়াতের তাফসীরে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এই কারণে যারাই তাফসীরের কিতাব কিনতে চায়, তাদের সকলকে আমি পরামর্শ দিই, যেন তাদের লাইব্রেরি এই মূল্যবান কিতাব থেকে মুক্ত না থাকে। আমি আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা করি, তিনি যেন এই কিতাবের মাধ্যমে লেখককে ও পাঠককে উপকৃত করেন। নিশ্চয় তিনি দয়ালু ও দানশীল। ১৫ রমযান ১৪১৬ হিজরি।