একই শিরোনামে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের খ্যাতিমান কথাশিল্পী সৈয়দ মুজতবা আলীর একটি গল্প আছে। অনেক দিন আগে আমি সে গল্পটি পড়েছিলাম। গল্পটি তাঁর রচিত 'ধূপছায়া' গ্রন্থে সূচিভুক্ত। মুজতবা আলী সাহেবের সে রসগোল্লার রস মুখে গ্রহণ করতে না পারলেও হৃদয়ে সে গল্পের (সাহিত্য) রসপ্রাপ্তিতে আমি অতিশয় তৃপ্ত। দারুণ, অসাধারণ সে রসগোল্লার রসাল গল্প। প্রিয় পাঠক, আপনিও হয়তো ইতোপূর্বে আমার মতো পড়ে ফেলেছেন সে গল্প। আর পড়ে না থাকলে শিগগির সেটি পড়ে দেখুন। আমার মতো দারুণ মজা পাবেন। অল্প খোঁজাখুঁজিতে আশপাশে, নিকটে কোনো লাইব্রেরিতে রসগোল্লা ধারণকারী সে বইটি পেয়ে যাবেন। কিন্তু একটা কথা আগেই বলে রাখি। সৈয়দ মুজতবা আলীর সে রসগোল্লা ছিল নামীদামি ভারতীয় রসগোল্লাকারখানায় প্রস্তুতকৃত এবং টিনজাত। মেয়াদকাল ছমাস বা এক বছর ছিল হয়তো। এক অর্থে বাসিও বলা যেত। আরও একটু বলে রাখতে চাই-লেখক তাঁর গল্পে অত্যন্ত দক্ষ ও সুনিপুণ হস্তে ভিনদেশি জলবন্দরের কাস্টম হাউসে সে টিনজাত রসগোল্লা উন্মোচন, বিতরণ ও জবরদস্তিমূলক খাওনকে কেন্দ্র করে উপস্থিত ভদ্রলোকদের মধ্যে এক হুলুস্থুল, তুলকালাম কাণ্ড বাঁধিয়ে দিয়েছিলেন। বাকি ঘটনাবলি বই পড়ে জেনে নিন।