পেশায় আমি একজন ব্যবসায়ী; তবে পেশার পাশাপাশি শখের বশে আমি বিভিন্ন ধরনের জিনিস সংগ্রহ করি, সে অর্থে শৌখিন সংগ্রাহক বলতে পারেন আমাকে। বিভিন্ন ধরনের এন্টিক অথবা বিখ্যাত ব্যক্তিদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র যেগুলোর ঐতিহাসিক মূল্য আছে, আমি সেগুলো শখের বসে সংগ্রহ করি। আর হচ্ছে আগেকার দিনের বড়ো বড়ো ধনী বা বিখ্যাত ব্যক্তির কবরে শুধুমাত্র শবদেহ এসবের কারণে আমাকে আইনের এপার এবং ওপার অর্থাৎ দুই পারের লোকের সাথে সমান খাতির রাখতে হয়। সেই সূত্রে, পুরান ঢাকার একজন সরদারের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে যিনি চুরি, চোরাই মাল সংগ্রহ সহ বিভিন্ন ধরনের হোয়াইট অফেন্স (তার ভাষ্য অনুযায়ী)-এর সাথে জড়িত। আমি তার নাম দিয়েছি খলিফা। তো খলিফার একজন শিষ্য আছে যে বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে আর তার ধারণা থাকে না, তার সাথে বিভিন্ন ধরনের ধন, সম্পদ, হীরা, মণি, মানিক্য ইত্যাদিও থাকে। এই ধারণার বশবর্তী হয়ে সে বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তির কবর খোঁড়াখুঁড়ি করে। এরকম ধারণার কারণে সে একটি বিখ্যাত জায়গায় বিখ্যাত ব্যক্তির কবর ওস্তাদের কাছে হস্তান্তর করে। খলিফা সেগুলো আমাকে দেয় এবং বলে, আপনি ভালো করে পরীক্ষা করে দেখেন কিছু নেওয়ার মতো আছে কি না; যদি থাকে তবে আপনি মূল্য যাই দিবেন আমি নিব। আমি অনিচ্ছা সত্ত্বেও তা নিলাম। আমি দেখলাম সেগুলো অবোধ্য ভাষায় লেখা যা বোঝা আমার জ্ঞানের বাইরে। পরের সপ্তাহে ব্যবসার কারণে আমার তেহরান যাওয়ার কথা; কী ভেবে আমি সে দলিলগুলো আমার সাথে নিয়ে নিলাম। দলিলগুলো খুবই বাজে অবস্থায় ছিল। খুবই নরম কাগজ এবং তার ভিতরে হিজিবিজি লেখা। তেহরানে পৌঁছে আমি আমার এক পরিচিত সিনিয়র বন্ধু যিনি তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর, তার কাছে হস্তান্তর করে তাকে এগুলো অনুবাদ করার অনুরোধ জানাই। তিনি কাগজের অবস্থা খারাপ দেখে এবং কষ্টসাধ্য কাজ দেখে বিনয়ের সাথে প্রত্যাখ্যান করেন। আমি তাকে বিশেষভাবে অনুরোধ করলে তিনি একপর্যায়ে রাজি হন।