ফররুখ আহমদ (১৯১৮-১৯৭৪) বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। কালজয়ী এ কবি ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। অনুবাদক ও গীতিকার হিসেবেও তিনি ছিলেন অনবদ্য। 'কুরআন মঞ্জুষা' ফররুখ আহমদের অনন্য সৃষ্টি। পবিত্র কুরআনের বাংলা তরজমার ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সফল কবি ফররুখ আহমদ। অসামান্য দক্ষতার সাথে কবিতার ছন্দে ফুটিয়ে তুলেছেন কুরআনের মর্মার্থ। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও কবি গোলাম মোস্তফার কুরআনের কাব্য অনুবাদের সার্থক অনুসারী কবি ফররুখ আহমদ। অনুবাদের কাজ করতে গিয়ে কবি তার দীক্ষাগুরু মাওলানা আবদুল খালেকের পরামর্শ গ্রহণ করেন। পুরো কুরআন শরীফ অনুবাদের লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করলেও ৪০টি সুরা অনুবাদ করতে সক্ষম হন। কিছু সুরার অনুবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও বেশ কিছু সুরা অপ্রকাশিত অবস্থায় থেকে যায় বা গ্রন্থাকারে কখনো প্রকাশ হয়নি। ফররুখ আহমদ গীতি সংগ্রহের কাজ চলাকালীন কবি-পুত্র মরহুম আহমদ আখতারের বাসা থেকে তিনটি অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপির সন্ধান পাই। তখনই সব তরজমা একত্রিত করে গ্রন্থাকারে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করি। পাণ্ডুলিপির নামটি কবি নিজেই দিয়েছিলেন। পাণ্ডুলিপির একটিতে সুরা মুনাফেকুন, সুরা তাগাবুন, সুরা মুলক, সুরা মুজ্জাম্মিল-এর হস্তলিপি পাওয়া যায়। এই পাণ্ডুলিপির সুরাগুলো কবির জীবনের শেষ পর্যায়ের অনুবাদকর্ম। অপর পাণ্ডুলিপিটি ব্রিটিশ আমলের একটি খাতায় লেখা, যাতে সুরা কমর, সুরা ইয়াসিন, সুরা হোমাজা, সুরা ফীল, সুরা কুরায়েশ, সুরা মাউন, সুরা কাওসার, সুরা কাফিরুন, সুরা নসর, সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস-এর তরজমা এবং আল্লাহর গুণবাচক নামগুলোর হস্তলিপি পাওয়া যায়। তৃতীয় পাণ্ডুলিপিতে আমপারার উনত্রিশটি সুরা একত্রে পাওয়া যায়। মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন সম্পাদিত মাসিক 'সওগাত' থেকে ফাল্গুন ১৩৪৮-এ প্রকাশিত সুরা আলাক ও সুরা এনশেরাহ এবং চৈত্র