ফিলিস্তিনের এই পাথরশিশুরা দৃশ্যপটে এসেছে ১৯৮৭ সালে। বর্তমানে তারা পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই সুপুরুষ। কিন্তু কারা এই পাথরশিশু? ওরা ছোট্টো শিশু। তাজা তাজা গোলাপের মতো স্নিগ্ধ- কোমল ও তুলতুলে। কিন্তু ওদেরকে একদিন শিশুজীবন থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে সময়ের আগেই—বাবার রক্তের প্রতিশোধ নিতে... ভাইয়ার রক্তের প্রতিশোধ নিতে... মা ও বোনের সম্মান রক্ষার লড়াইয়ে অংশ নিতে... দখলদার বজ্জাত ইহুদিদের বিরুদ্ধে। এই পাথরশিশুরাই ইন্তেফাদার উত্তাল দিনগুলোয় যোগ করেছে বিস্ময়, মহা-বিস্ময়। তুলতুলে কোমল হাতে তুলে নিয়েছে ‘অস্ত্রহীন’ দেশের ছোটো ছোটো পাথর। তা নিয়েই ঝাঁপিয়ে পড়েছে আগ্রাসী সৈন্যদের বিরুদ্ধে। বুক পেতে দাঁড়িয়েছে কখনও ট্যাংকের সামনে। কখনও নিশানা বানিয়েছে এ্যাপাচি আকাশযান। ডাক এলেই মুখোমুখি হয়েছে বুলেট-গুলির—খালি বুকে... খালি পায়ে... শুধু পাথর আর গোলাইল নিয়ে!...প্রিয় বন্ধু, এ বই তোমার সামনে তুলে ধরবে সে-সব পাথরশিশুর বীরত্বগাথা। আরও তুলে ধরবে বর্বর নিষ্ঠুর ইহুদিদের নির্মম বর্বরতা ও নিষ্ঠুরতার কালো ইতিহাস—শিশুদের বিরুদ্ধে। মানবতার বিরুদ্ধে। সব ঘটনাই সত্যি। চোখে দেখা সত্যি। যদিও পড়তে বসলে মনে হবে—কল্পনা বুঝি! রূপকথা কি? পাথরশিশুদের পাথর-যুদ্ধ চলছে এখনও অবিরাম। ফিলিস্তিনের আকাশে স্বাধীন পতাকা না ওড়া পর্যন্ত থামবে না—এই পাথর-সংগ্রাম। বর্তমানে দৃশ্যপট অনেক বদলে গেছে। ফিলিস্তিনের ‘বেঁচে থাকা’ সেই পাথরশিশুরাই এখন ‘আগুন-অস্ত্র’ নিয়ে রণাঙ্গনে লড়ছে—শাহাদাতের সবুজ তামান্নায়। এসো, পাথরশিশুদের বীরত্বের সাথে পরিচিত হই। ওদের বীরত্বগাথা পড়ে পড়ে বীর হয়ে ওঠি।