পরিবার, সমাজ কিংবা রাজনীতি- সবখানেই তো পরতে পরতে এখন শঠতা আর কপটতা ভর করে আছে । এ উপন্যাসের উপজীব্য বিষয়ও তা-ই । হেদায়েত আর শহীদ দুজন অতীতের সহপাঠী। হেদায়েতের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা বেশি এগোয়নি । তবে শহীদ ঠিকই শেষ করেছে । কাহিনির দীর্ঘ ভ্রমণ যাত্রা শহীদকে দিয়ে শুরু হয় । কয়েক বছর হলো বিয়ে করেছে এ যুবক । তার স্ত্রী নিতু ভার্সিটির পাঠ চুকে পুরো সংসারী । তবে চাকরি নিয়ে মোটেও মনতুষ্টি নেই শহীদের । বদলি ও কর্মসূত্রে যেখানে তার পোস্টিং হয়েছিল, ওখানেই দারোয়ান ছাড়া কোথাও যেন দারোগা মনে হয়নি নিজেকে ! আর হেদায়েত হলো পেশায় বাইকার । মৃত্যুকূপে যুক্ত । উৎসব-পার্বণ ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মেলায় অংশ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে হেদায়েত । কূপ নিয়ে বের হলেই বাড়িতে তার জন্য দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারেন না গর্ভধারিণী মা এবং প্রতিবেশিনী রেনু । কাহিনির মোচড় যে মেলাকে ঘিরে ওখানেরই এক মেয়ে, নাম সুরাইয়া অপরূপা এ মেয়েটি হাবাগোবা। হেদায়েতের বাইক খেলায় এ মেয়েটি যেন একটু বেশিই উতলা! আর মেলাটি শুরু হয়েছিল উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিনকে উপেক্ষা করে! এক পর্যায়ে হাফিজ বুঝতে পারেন, তার মতো নেতার চাইতে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বেশি কদর পাচ্ছেন। এভাবে আরো সন্নিবেশিত হলো রাজনৈতিক কূটকৌশলও! মেলা চলাকালীন সময়ে একদিন হাফিজের ওপর প্রতিশোধ নিতে চায় সুরাইয়ার পিতা ওহাব । ধূর্ত এ লোক রাত নামার আগেই হেদায়েতকেও মেরে ফেলতে চাইছেন! কিন্তু হাবাগোবা সুরাইয়া কেন বাড়ি হতে পালালো? আর কেনই তার পিছু ধরেছিল ছন্নছাড়া রইস...! পরিবার, সমাজ কিংবা রাজনীতি- সবখানেই তো পরতে পরতে এখন শঠতা আর কপটতা ভর করে আছে । এ উপন্যাসের উপজীব্য বিষয়ও তা-ই । হেদায়েত আর শহীদ দুজন অতীতের সহপাঠী। হেদায়েতের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা বেশি এগোয়নি। তবে শহীদ ঠিকই শেষ করেছে । কাহিনির দীর্ঘ ভ্রমণ যাত্রা শহীদকে দিয়ে শুরু হয় । কয়েক বছর হলো বিয়ে করেছে এ যুবক । তার স্ত্রী নিতু ভার্সিটির পাঠ চুকে পুরো সংসারী । তবে চাকরি নিয়ে মোটেও মনতুষ্টি নেই শহীদের । বদলি ও কর্মসূত্রে যেখানে তার পোস্টিং হয়েছিল, ওখানেই দারোয়ান ছাড়া কোথাও যেন দারোগা মনে হয়নি নিজেকে ! আর হেদায়েত হলো পেশায় বাইকার । মৃত্যুকূপে যুক্ত । উৎসব-পার্বণ ঘিরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মেলায় অংশ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে হেদায়েত । কূপ নিয়ে বের হলেই বাড়িতে তার জন্য দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারেন না গর্ভধারিণী মা এবং প্রতিবেশিনী রেনু । কাহিনির মোচড় যে মেলাকে ঘিরে ওখানেরই এক মেয়ে, নাম সুরাইয়া অপরূপা এ মেয়েটি হাবাগোবা। হেদায়েতের বাইক খেলায় এ মেয়েটি যেন একটু বেশিই উতলা! আর মেলাটি শুরু হয়েছিল উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিনকে উপেক্ষা করে! এক পর্যায়ে হাফিজ বুঝতে পারেন, তার মতো নেতার চাইতে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বেশি কদর পাচ্ছেন। এভাবে আরো সন্নিবেশিত হলো রাজনৈতিক কূটকৌশলও! মেলা চলাকালীন সময়ে একদিন হাফিজের ওপর প্রতিশোধ নিতে চায় সুরাইয়ার পিতা ওহাব । ধূর্ত এ লোক রাত নামার আগেই হেদায়েতকেও মেরে ফেলতে চাইছেন! কিন্তু হাবাগোবা সুরাইয়া কেন বাড়ি হতে পালালো? আর কেনই তার পিছু ধরেছিল ছন্নছাড়া রইস...!
মাহবুব হাসান জ্যোতি;(Mahbub Hassan Joti) জন্ম চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মানুরী গ্রামে। গল্পের পোকাটা চিন্তার জগতে ঢুকে শহরে থিতু হওয়ার পর। তিনি পেশায় একজন নাট্যকার ও মিডিয়া কর্মী। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ছিলেন। পর্যায়ক্রমে কাজ করেছেন; আজকের কাগজ, আমাদের সময়, এশিয়ান টেলিভিশন, ঢাকা ট্রিবিউন ও বাংলা ট্রিবিউনে। বর্তমানে বেসরকারি একটি টেলিভিশনে কর্মরত। তার লেখা প্রথম টেলিভিশন নাটক ছিল যৌথভাবে রচিত ‘কাগজের মানুষ’ যা আরটিভিতে সম্প্রচারিত। প্রথম গ্রন্থের নাম ‘পাশফেরা'। এরপর গল্প গ্রন্থ ‘অঘোর ছায়া’। তারপর উপন্যাস ‘উড়োনচণ্ডীর উথালপাথাল দিন’। আর নাটকের মধ্যে ‘শহুরে সময়’, ‘সৌমেনের যত ভয়’, ‘কড়িওয়ালা’, ‘প্যাচিংম্যাচিং’, ‘তবুও স্বপ্ন’ প্রভৃতি।