সম্পাদকের কথা ইসলাম আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে আসা একমাত্র ধর্ম। ইসলাম ব্যতীত অন্যান্য বিশ্বাস ও আচরণধারা- যেগুলোকে অনেকেই ধর্ম বলে ভাবে- তা মূলত আল্লাহ তাআলার অনুমোদন রহিত কিছু বিশ্বাস ও আচার-আনুষ্ঠানিকতা। কেননা আল্লাহ তাআলা এক ও অদ্বিতীয়। তিনি লা-শারীক। অতএব তাঁর পক্ষ থেকে আসা ধর্মও হবে এক ও অদ্বিতীয়। সকল নবী-রাসূল এক ও অভিন্ন ধর্ম নিয়ে পৃথিবীতে এসেছেন। শরীয়ত ও মিনহাজ তথা বিধান ও পদ্ধতি ভিন্ন ভিন্ন হলেও মৌলিক বিশ্বাস ও আচরণবিধি সকল যুগেই থেকেছে এক ও অভিন্ন।
তবে মানুষ আল্লাহর ধর্মের যথার্থ সম্মান দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে যুগ-যুগান্তরে। কখনো বা তারা আল্লাহর বাণীসমগ্রকে উপস্থাপন করেছে নিজ হাতে বিকৃত করে। কখনো বা তারা স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে আল্লাহর বাণীর স্থলে লিখে দিয়েছে নিজেদের কথামালা। [দেখুন -সূরা আল-মায়েদা : ১৩]
অবশ্য ধর্মের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এসেছে আধুনিক সভ্যতার জড়বাদী স্রোতধারা থেকে। যেখানে ধর্ম হয়ত নির্বাসিত অথবা অতিরিক্ত আঙ্গুলের ন্যায় নিষ্ক্রিয়। কারও কারও কাছে আবার তা একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়।
বর্তমান সমাজের মানুষেরা আল্লাহর ধর্মের বলয়মুক্ত হয়ে নিজেদের বুদ্ধি-বিবেচনার নিরিখে যা ভালো মনে করছে তার পেছনেই ছুটে চলছে প্রবল উৎসাহে। প্রবৃত্তির খেয়ালীপনার ডানায় চড়ে তারা উড়ে বেড়াচ্ছে গন্তব্যহীন পথে-প্রান্তরে। তারা ভাবছে, এটাই হলো প্রগতিশীলতা, সভ্যোচিত আচরণ। অথচ বাস্তবে যা ঘটছে তা সম্পূর্ণই বিপরীত। প্রগতিশীলতার মরীচিকার পানে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপ কেবলই বয়ে আনে অবক্ষয়ের সহস্র কালো থাবা- যা তাদেরকে বিক্ষত করে দেয় মর্মন্তুত সব কষাঘাতে। সৃষ্টি হচ্ছে নব নব সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যা। যার কোনো সামাধান খুঁজে পাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
আধুনিক সভ্যতার ঝাণ্ডাবাহী দেশগুলোর প্রতিটি নাগরিক যন্ত্রসভ্যতার সকল সুযোগ আকণ্ঠ ভোগ করা সত্ত্বেও তাদের ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন অবর্ণনীয় দুঃখ-বেদনায় নিয়ত হাপিত্যেশে রত। বার্ট্রান্ড রাসেলের ভাষায়- আমি যে চেহারার প্রতিই তাকিয়ে দেখি, আমি তাতে দেখতে পাই অসুখি জীবনের ছাপ। এই অসুখী জীবনের ছাপ মোচনে আধুনিক জড়বাদী সভ্যতা ব্যর্থ হয়েছে, হচ্ছে খুবই করুণভাবে। মনে হয় যেন সবকিছু আটকা পড়েছে কণ্টকিত এক অন্ধগলিতে। ইতিহাসবিদ ওয়েলসের ভাষায়- ‘বাইরে যাওয়ার পথ রুদ্ধ, আশপাশের কোনো সুযোগ দেখা যাচ্ছে না।’
এই হাপিত্যেশ অবস্থা থেকে নিস্কৃতি পেতে অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছে ইসলামের সুশীতল ছায়ায়। খোদ আমেরিকায় প্রতি বছর ধর্মান্তরিত হচ্ছে প্রায় বিশ হাজার আমেরিকান। আধুনিক যন্ত্রসভ্যতার যাঁতাকলে নিষ্পেষিত মানুষকে ইসলামের যে বিষয়গুলো অতিমাত্রায় আকৃষ্ট করছে তা হলো সহজ-সরল বিশ্বাস এবং পারিবারিক ও সামাজিক বিধানাবলী। আল কুরআনের ঐশী উৎসের প্রতি মুগ্ধতা তো আছেই।
বক্ষ্যমাণ বইটি ইসলামের পারিবারিক ও সামাজিক বিধানাবলীর এক প্রামাণিক উপস্থাপনা। লেখকের ব্যক্তিগত উপলব্ধি নয়; বরং এখানে প্রাধান্য পেয়েছে ইসলামী বিধানাবলীর উৎস কুরআন ও সুন্নাহর সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি। নয়টি অধ্যায়ে বিভক্ত গ্রন্থটির সবগুলোই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যা পাঠককে- হোক সে মুসলিম অথবা অমুসলিম- বিমোহিত না করে পারে না।
আমার শ্রদ্ধাভাজন জনাব এম. মুসলেহ উদ্দীন [এফ.সি.এ] বইটি আমেরিকা থেকে নিয়ে এসেছেন অনুবাদের আগ্রহ নিয়ে। তিনি ইতঃপূর্বে একই লেখকের ‘আল কুরআনের ১৬০ মুজিজা’ অনুবাদ করে প্রকাশ করেছেন- যা পাঠকের প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে সকল বিবেচনায়। বর্তমান বইটিও পাঠকের সমাদর পাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস। বইটিতে আল কুরআনের আয়াত আরবীতে উল্লেখ করা হয়নি। এর কারণ প্রথমত মূল গ্রন্থের অনুসরণ। দ্বিতীয়ত অমুসলিম ভাইদের মাঝে বইটি প্রচারের প্রত্যাশা, যাতে তারা ইসলামের পারিবারিক ও সামাজিক বিধানাবলীর সৌন্দর্যালোককে আবিষ্কার করতে পারেন।
প্রতিটি অধ্যায়ের শুরুতে রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আল কুরআনের নির্দেশনা-এরপর একই বিষয়ে বিভিন্ন হাদীসের সাবলীল বর্ণনা। মূল গ্রন্থে হাদীসের আরবী টেক্সট ছিল না। তাই অনুবাদক ইংরেজি অনুবাদ থেকেই হাদীসগুলো অনুবাদ করেছেন। অনুবাদ থেকে অনুবাদ হওয়ায় হয়ত কোথাও কোথাও আক্ষরিকতা আহত হয়েছে, তবে এতে ক্ষতির কিছু নেই। কেননা হাদীসের ক্ষেত্রে অর্থগত বর্ণনা [আর রিওয়াহ বিল মা‘না]-এর অনুমতি উন্মুক্ত রয়েছে। হাদীসগুলোর মূল ভাব যেহেতু কুরআন দ্বারা প্রমাণিত, যা আল কুরআনের নির্দেশনা অংশে উল্লিখিত- এ কথা বিবেচনায় রেখেই সকল হাদীসের বিশুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্য আলাদাভাবে কসরত করতে যাইনি। অতএব বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে যদি কোনো যঈফ হাদীস থেকে থাকে তবে তা ব্যাকরণ বিরুদ্ধ হয়েছে বলে ধরা হবে না। কেননা যঈফ হাদীসের মূল বক্তব্য যদি আল কুরআন অথবা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত থাকে তবে তা উল্লেখ করতে কোনো বাধা নেই।
আল্লাহর কাছে প্রার্থনা- তিনি যেন লেখক, অনুবাদক ও প্রকাশক সবাইকে জাযায়ে খায়ের দান করেন। এই বইটিকে পরকালে নাজাতের উসিলা বানান। আমীন!
ড. মাওলানা শামসুল হক সিদ্দিক
সূচিপত্র প্রথম অধ্যায় * পিতা মাতা : দায়িত্ব ও কর্তব্য / ১৫ * কুরআন মাজীদের নির্দেশনা / ১৫ * পিতামাতার মঙ্গল কামনা / ১৭ * অমুসলিম পিতামাতার প্রতিও ইহসানপূর্ণ আচরণ / ১৮ * পিতামাতার জন্যে ব্যয় করা / ১৮ * পিতামাতার জন্যে অর্থ রেখে যাওয়া / ১৯ * পিতামাতার প্রতি কৃতজ্ঞতা / ১৯ * পিতামাতার পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ / ২০ * পিতামাতার জন্যে প্রার্থনা / ২১ * মায়ের বিশেষ মর্যাদা / ২১ * মায়ের জন্যে নূহ আ.-এর দু‘আ / ২২ * পিতামাতার জন্যে ইবরাহীম আ.-এর দু‘আ / ২২ * ইয়াহইয়া আ. ও তাঁর পিতামাতা / ২২ * ঈসা আ. ও তাঁর মা / ২৩ * হাদীসের নির্দেশনা / ২৩ * পিতামাতার আনুগত্যের গুরুত্ব / ২৩ * অন্যদের পিতামাতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন / ২৫ * পিতামাতার অধিকারের তাৎপর্য / ২৫ * বৃদ্ধ বয়সে পিতামাতার প্রতি বিশেষ যত্নবান হওয়া / ২৬ * মায়ের ভগ্নির প্রতি বিশেষ দৃষ্টি / ২৮ * একজন অমুসলিম মায়ের প্রতিও দয়া প্রদর্শন / ২৮ * পিতার মর্যাদা / ২৯ * মৃত্যুর পরে পিতামাতার অধিকার / ৩০ * পিতামাতার আনুগত্যের পুরষ্কার / ৩২ * পিতামাতার অবাধ্যতার পরিণাম / ৩৪ * পিতামাতার অবাধ্যতার শাস্তি / ৩৫ * তিনটি বিশেষ ঘটনা / ৩৬
দ্বিতীয় অধ্যায় ছেলেমেয়ে : অধিকার ও কর্তব্য / ৪১ * কুরআন মাজীদের নির্দেশনা / ৪১ * হাদীসের নির্দেশনা / ৪৪ * নবজাতকের কানে আযান দেওয়া / ৪৫ * তাহনীক ও দু‘আ / ৪৬ * আকীকা প্রদান / ৪৬ * ছেলের নামকরণ বা ‘তাসমিয়া’ / ৪৮ * একটি শিশুর প্রথম উচ্চারিত শব্দ / ৪৯ * উত্তম গুণাবলী শিক্ষা দান / ৪৯ * শিশুদের সালাম দেওয়া / ৫০ * একটি ভাল দৃষ্টান্ত / ৫১ * নামাজের আদেশ প্রদান / ৫১ * কুরআন মাজীদ শিক্ষা দেওয়া / ৫২ * ছেলে মেয়ের প্রতি ভালবাসা ও দয়া / ৫৩ * প্রত্যেক ছেলেমেয়ের সাথে সমতাসুলভ আচরণ / ৫৪ * একটি বিধবা কন্যার দেখাশুনার দায়িত্ব নেওয়া / ৫৭ * স্বামী পরিত্যক্তা কিংবা বিধবা মাতাদের জন্য সুসংবাদ / ৫৭ * ছেলেমেয়েদের জন্য খরচ করা / ৫৮ * ছেলেমেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করা / ৫৯
তৃতীয় অধ্যায় * ইসলামী পটভূমিতে বিয়ে / ৬০ * কুরআন মাজীদের নির্দেশনা / ৬১ * ইসলামে একাধিক বিয়ে / ৬৩ * হাদীসের নির্দেশনা / ৬৬ * বিয়ের প্রতি উৎসাহ প্রদান / ৬৬ * বিয়ের ক্ষেত্রে কাম্যবস্তু / ৬৭ * বিয়ের পূর্বে বর কনে পরস্পরকে দেখা / ৬৭ * বিয়ের অনুমতি / ৬৮ * নারীর ইচ্ছার স্বাধীনতা / ৬৯ * সাক্ষী ব্যতীত বিয়ে / ৭০ * বিয়ের ঘোষণা / ৭০ * বিয়েতে আনন্দ উৎসব / ৭১ * বিয়ের খুতবা / ৭২ * বিয়ের মোহরানা / ৭২ * অলীমা বা বিয়ে ভোজ / ৭৪ * অলীমার ক্ষেত্রে কিছু কাক্সিক্ষত নির্দেশনা / ৭৪ * তালাক / ৭৫ * কুরআন মাজীদের নির্দেশনা / ৭৫ * হাদীসের নির্দেশনা / ৭৯
চতুর্থ অধ্যায় স্বামী ও স্ত্রীর পারস্পরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য / ৮২ * স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কর্তব্য / ৮৪ * মৌলিক চাহিদার প্রতি যতœবান হওয়া / ৮৬ * নারীদের সমান অধিকার / ৮৬ * স্ত্রীর প্রতি দয়া প্রদর্শন / ৮৭ * স্ত্রীকে ক্ষমা করে দেওয়া / ৮৮ * স্ত্রীর সম্ভ্রম রক্ষা / ৮৮ * সালিশ নিয়োগের সমান অধিকার / ৮৯ * স্ত্রীর প্রতি দয়া প্রদর্শন, এমনকি তালাক প্রদানের পরও / ৮৯ * হাদীসের নির্দেশনা / ৮৯ * মানুষের সর্বোত্তম ধনভাণ্ডার / ৮৯ * সদয় আচরণ / ৯০ * স্ত্রীকে অপছন্দ করার নিষেধাজ্ঞা / ৯১ * নারীদের অধিকার ও দায়িত্ব / ৯১ * নারীদের মৌলিক অধিকার / ৯২ * আদর্শ স্বামী / ৯২ * একাধিক স্ত্রীর সাথে সাম্যের আচরণ / ৯৩ * পরিবারের উপর ব্যয় করার প্রতিদান / ৯৩ * পরিবারের উপর ব্যয় না করার নিন্দা / ৯৪ * রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আচরণ / ৯৪ * স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব ও কর্তব্য / ৯৬ * স্বামীর প্রতি সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন / ৯৬ * রোযা রাখতে স্বামীর অনুমতি / ৯৭ * স্বামীর ডাকে সাড়া দেওয়া / ৯৭ * স্বামীর আহ্বান প্রত্যাখ্যান করার নিন্দা / ৯৮ * স্বামীর সম্পদ যথাযথভাবে হেফাজতের প্রতিদান / ৯৮ * স্বামীকে কষ্ট দেওয়ার নিন্দা / ৯৯ * অবাধ্য স্ত্রীর ইবাদত গৃহিত হয় না / ৯৯ * স্বামীকে সন্তুষ্ট করার প্রতিদান / ৯৯
পঞ্চম অধ্যায় * আত্মীয় স্বজনের অধিকার / ১০৩ * কুরআন মাজীদের নির্দেশনা / ১০৩ * জ্ঞাতি সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্ব / ১০৩ * আত্মীয়-স্বজনের অধিকার / ১০৪ * আত্মীয়-স্বজনের জন্য ব্যয় / ১০৬ * সমাজের ধনিকশ্রেণীর প্রতি সতর্কবার্তা / ১০৬ * আত্মীয়-স্বজনের প্রতি দয়া প্রদর্শন / ১০৭ * পারিবারিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে মৌলিক নীতিমালা / ১০৭ * ধর্মানুরাগের একটি মানদণ্ড / ১০৭ * উত্তরাধিকার সংক্রান্ত উইল / ১০৮ * যারা উত্তরাধিকারের অংশ পায় না সেসব আত্মীয় সম্পর্কে / ১০৮ * হাদীসের নির্দেশনা / ১০৯ * মদীনায় রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রথম ভাষণ / ১০৯ * পারিবারিক বন্ধন রক্ষা করার মানদণ্ড / ১১০ * জ্ঞাতি সম্পর্ক রক্ষার গুরুত্ব / ১১০ * পারিবারিক বন্ধন রক্ষার পুরষ্কার / ১১২ * আত্মীয়-স্বজনের উপর ব্যয় করা / ১১৩ * আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার শাস্তি / ১১৩ * বড় ভাইয়ের অধিকার / ১১৪ * পরিবারের ছোট ও বড়দের প্রতি সহানুভূতি / ১১৪
৬ষ্ঠ অধ্যায় * ঈমানদারদের পারস্পরিক দায়িত্ব ও কর্তব্য / ১১৫ * কুরআন মাজীদের নির্দেশনা / ১১৬ * মুসলিম উম্মাহর ঐক্য / ১১৬ * সকল মু‘মিন ভাই ভাই / ১১৬ * ঈমানদারগণ পরস্পর সহানুভূতিশীল / ১১৬ * ঈমানদারগণ একে অপরের হিতাকাক্সক্ষী / ১১৭ * ঈমানদারদের সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য / ১১৭ * ঈমানদারকে সালাম প্রদান / ১১৭ * ঈমানদারের কাছ থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ / ১১৭ * ঈমানদারকে হত্যা করা / ১১৮ * হাদীসের নির্দেশনা / ১১৮ * ইসলামী ভ্রাতৃত্বের প্রকৃতি / ১১৮ * ঈমানদারদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির প্রতি সতর্কবাণী / ১১৮ * ঈমানদারদের পারস্পরিক অধিকার ও কর্তব্য / ১২০ * মুমিনকে ভালবাসার পুরষ্কার / ১২২ * ঈমানদারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ পোষণ সম্পর্কে সতর্কবাণী / ১২২ * ঈমানদারের জন্য মঙ্গল কামনা / ১২৩ * যথার্থ পরামর্শ দেওয়া / ১২৩ * ঈমানদারের সম্মান রক্ষা / ১২৪ * একজন অভাবী মুসলমানকে সাহায্য করা / ১২৫ * রোগীদের দেখতে যাওয়া / ১২৭ * দোষ গোপন করা / ১২৭ * ঈমানদারদের মধ্যে সমঝোতার ব্যবস্থা করা / ১২৭ * ঈমানদারের জন্য সুপারিশ করা / ১২৮ * বয়স্ক মুসলমানকে সম্মান করা / ১২৯ * ঈমানদারকে হত্যা করার শাস্তি / ১২৯
সপ্তম অধ্যায় * ঈমানদারদের সামাজিক দায়িত্ব ও কর্তব্য / ১৩১ * প্রতিবেশী / ১৩২ * প্রতিবেশীর ধরন ও তাদের স্ব স্ব অধিকারসমূহ / ১৩৩ * প্রতিবেশীর অধিকারের গুরুত্ব / ১৩৩ * বিচার দিবসে প্রথম বিবাদ / ১৩৪ * আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসার একটি মানদণ্ড / ১৩৪ * ঈমানের একটি মানদণ্ড / ১৩৫ * সদাচারের একটি মানদণ্ড / ১৩৬ * প্রতিবেশীর অধিকার / ১৩৬ * প্রতিবেশীকে হাদিয়া দেওয়া / ১৩৮ * প্রতিবেশীকে যারা কষ্ট দেয়, তাদের প্রতি সতর্কবাণী / ১৩৮ * সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ / ১৩৯ * প্রতিবেশীর সাথে জ্ঞানের আদান প্রদান / ১৩৯ * ইয়াতিমের অধিকার / ১৪০ * কুরআন মাজীদের নির্দেশনা / ১৪১ * ইয়াতিমদের মৌলিক অধিকার / ১৪১ * ইয়াতিমদের প্রতি দয়া / ১৪১ * ইয়াতিমের সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করা / ১৪১ * ইয়াতিমদের উপর ব্যয় করা / ১৪২ * ইয়াতিমের অধিকার হরণ করার শাস্তি / ১৪২ * হাদীসের নির্দেশনা / ১৪২ * গরীব ও অভাবীদের অধিকার : কুরআন মাজীদের নির্দেশনা / ১৪৪ * গরীবদের অধিকার সংশ্লিষ্ট নির্দেশনা / ১৪৪ * গরীবদের আহার করানো / ১৪৪ * হাদীসের নির্দেশনা / ১৪৫ * গরীবদের সাহায্য করা / ১৪৬ * বিধবা / ১৪৭ * দাস দাসী ও চাকর চাকরানী / ১৪৭ * কুরআন মাজীদের নির্দেশনা / ১৪৮ * দাস দাসী ও চাকর চাকরানীদের সাথে সদয় আচরণ / ১৪৮ * দাস মুক্ত করা / ১৪৯ * হাদীসের নির্দেশনা / ১৪৯ * চাকর ও দাসদের অধিকার / ১৪৯ * দাস মুক্তকরণ / ১৫০ * দাস কিংবা চাকরের সাথে খারাপ আচরণের শাস্তি / ১৫০ * ক্রীতদাসকে তার জ্ঞানের জন্যে সম্মান প্রদর্শন / ১৫১
অষ্টম অধ্যায় * অন্যদেরকে আল্লাহর দীনের প্রতি আহ্বান করা * ধর্মীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য / ১৫২ * কুরআন মাজীদের নির্দেশনা / ১৫৩ * মুসলিম উম্মাহকে সৃষ্টি করার এটিই মূল কারণ / ১৫৩ * মুমিনের অপরিহার্য গুণ / ১৫৪ * মুসলিম ভ্রাতৃত্বের ভিত্তি / ১৫৫ * ছেলের প্রতি লোকমান আ.-এর উপদেশ / ১৫৫ * হাদীসের নির্দেশনা / ১৫৬ * এটি ঈমানের একটি মানদণ্ড / ১৫৬ * এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দায়িত্ব / ১৫৭ * এটি দু‘আ কবুলের একটি অন্যতম পূর্বশর্ত / ১৫৭ * এটি একটি সর্বোত্তম জিহাদ / ১৫৮