ভূ মি কা ছড়ার সাম্রাজ্যে শিশুদের উপযোগী ছড়ার চাহিদা এখন বিপুল । আর ছড়া রচনা যেহেতু অন্য যেকোনো সৃজনশীল কর্মের তুলনায় আপাতদৃষ্টিতে অত্যন্ত সহজ ও লঘু ক্লেশভারমুক্ত বিপুলসংখ্যক মানুষের একদিকে এটা একটা ব্যসন অন্যদিকে অনেক সফলকৃতী মানুষের নিছক বিনোদন আত্মপ্রচারের অবলম্বন এবং অনেক বিপন্ন বেকার পুরুষের সম্মানজনক আশ্রয়স্থলও বটে। উপরন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ শিক্ষিত নারীই যেহেতু প্রায় প্রজাপতির মতোই নির্ভার ও ফুরফুরে জীবন যাপন করেন। তারাও এই ক্ষেত্রটিকে বেছে নিয়েছেন সময় যাপনের পক্ষে হিতকর মাধ্যম ও আলস্যের প্রতিষেধকরূপে। অতএব ছড়াকারদের সংখ্যা ও ব্যস্ততা ও সৃষ্টি সৃষ্টি তৎপরতা বাংলাদেশের জনসংখ্যার মতোই আশঙ্কাজনকভাবে ক্রমবর্ধমান। এটা একদিক থেকে কদাচিৎ আশাব্যঞ্জক, কারণ সংখ্যাধিক্যও একধরনের সাফল্য। কিন্তু সংখ্যাই তো সব নয়। শিল্পে গুণগত মানই প্রধান বিবেচনার বিষয়। এটা অস্বীকার করা মূঢ়তা যে, অতি নগণ্য ব্যতিক্রম বাদে, আমাদের সাম্প্রতিক ছড়ার মান শিল্প বিচারে অতিশয় দীন ও নিম্নগামী। অথচ বিশ্বাস করা যদিও কষ্টকর, এটা সত্য যে আমাদের ছড়ায় রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম, সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, শামসুর রাহমান প্রমুখ এমন সব কৃতী পুরুষের একদা আবির্ভাব ঘটেছিল, যাদের প্রেম ও প্রতিভার স্পর্শে বাংলা ছড়া হয়ে উঠেছিল বিশ্বের নান্দনিক মানচিত্রে একটি বিশ্বনন্দিত শীর্ষস্থল।
আবুল কালাম আজাদের শৈশব কেটেছে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের কৌড়ী গ্রামে। পল্লী প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য তার মধ্যে সাহিত্যের বীজ বুনে দেয়। শৈশব থেকেই লেখালেখি শুরু। এ পর্যন্ত চারবার মীনা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন ২০০৮, ২০০৯, ২০১০ ও ২০১২ সালে। মীনা কার্টুনের গল্প লেখা এবং রুম টু রিড আয়ােজিত নন-ফ্যান্টাসি গল্প লেখার কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রকাশিত বই ক্ষয়, নক্ষত্রের পানে, ভেলু মামার কঙ্কাল পাঠ, বন্ধু পাওয়া, বন্টু মামা ও একটি শালিক পাখি, সেকেন্ড মিশন সাকসেসফুল, পরশু মাহাবুব ভাইয়ের বিয়ে, শুভ্র চলে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের পটভূমিকায় রচিত উপন্যাস ‘সােনাডাঙা স্কুলে মুক্তিযুদ্ধ’ পাঠকের মন যােগাতে ও জাগাতে সক্ষম হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। লেখক বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়ােজিত আছেন। লেখালেখির পাশাপাশি আবৃত্তি ও ছবি আঁকেন।