সূচিপত্র * বিজ্ঞান ও ইসলাম * প্রারম্ভিক কথা * সাইয়েন্সের আলোচ্য বিষয় * আনাসিরের শক্তির পারস্পরিক ব্যবধান ও তার মাপকাঠি * মাটি * আগুন * পানি * বাতাস * সমস্ত উপাদানের আধার মানুষ ও তার শক্তি * আনাসিরে আরবাআর উপর মনুষ্য হস্তক্ষেপ * মূল উপাদানে মানুষের উদ্ভাবন * মনুষ্য শক্তি ও বশক্ষমতা কোথায় সুপ্ত * মানব-রূহের অভ্যন্তরীণ শক্তি ও সূক্ষ্মতা * রূহের বৈশিষ্ট্যাবলি থেকে প্রভুত্ববাদের প্রমাণ * রূহানী শক্তির অপব্যবহার * রূহানী শক্তির অপব্যবহারের ফলাফল * রূহানী শক্তির বিস্ময়কর কৃতিত্ব * বস্তুগত রূপান্তর প্রকৃত কোন পরাকাষ্ঠা নয় * মানুষের মুখাপেক্ষিতার মূল কারণ * মৌলিক উপাদান চতুষ্টয়ের চরিত্র * মাটি ও তার চরিত্র * আগুন ও তার চরিত্র * বাতাসের স্বভাব * পানির চরিত্র * আত্মিক হীনতার মূলনীতি চারটি * আত্মিক সৌন্দর্যের মূলনীতি চারটি * আমল বিনে আখলাকের প্রকাশ অসম্ভব * বস্তুচরিত্র প্রকাশক কাজ * রূহানী চরিত্র প্রকাশক কাজ * সদকা ও নির্ভীকতা * বস্তুজগৎ থেকে নির্ভীকতা তাআল্লুক মাআল্লাহর ভিত্তি * ‘তাআল্লাক মাআল্লাহ’র শক্তিই সব রূহানী বিস্ময়তার মূল * শুধু বিজ্ঞান কখনও এই নির্ভীকতা সৃষ্টি করতে পারে না * সাইয়েন্স ও ইসলামের মধ্যে ‘লক্ষ্য’ ও ‘উপলক্ষ্যে’র সম্পর্ক * সাইয়েন্স ও ইসলামের প্রকৃতিসমূহ আমাদের কাছে কী চায় * নিরেট বস্তুবাদিতার ক্ষতিসমূহ * ইউনিভার্ষিটির ছাত্রদের জন্য উপদেশ * বস্তুজগতের অনিষ্ট দূর করার উপায় * তাওহীদ সুদৃঢ় করুন * ইয়াদে হক ও তার প্রাথমিক সহজ নিয়ম * সৎ লোকদের সোহবত এবং আহলুল্লাহর সম্পর্ক * হাদীসের আলোচনার সূক্ষ্ম ফলাফল * রূহের সূক্ষ্মতা দীনদার হওয়ার মধ্যে নিহিত * ইসলামের ভিত্তিমূল * সাইয়েন্সের মূল বুদিয়াদ কী * একটি ভুর ধারণার নিরসন * ইউনিভার্ষিটির ছাত্রদের শিক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্র * উপসংহার ও উপদেশের সারসংক্ষেপ * হাকীমুল ইসলাম মাওলানা কারী মুহাম্মদ তায়্যিব (রহ.)-এর * সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
কারী মুহাম্মদ তৈয়ব কাসেমি (জন্ম: ১৮৯৭ - মৃত্যু: ১৭ জুলাই ১৯৮৩) ভারতীয় ও দেওবন্দি ধারার ইসলামী চিন্তাবিদ। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ কাসেম নানুতাবির দৌহিত্র। তিনি ১৯২৯ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম (উপাচার্য) ছিলেন। তার পিতার নাম মাওলানা হাফেয মুহাম্মাদ আহমদ। সাত বছর বয়সে তিনি দারুল উলূম দেওবন্দে ভর্তি হন। প্রথমে কুরআন হিফজ করেন। তারপর পাঁচ বছর ফারসী, গণিত স্তরের শিক্ষা অর্জন করে আরবির সিলেবাস আরম্ভ করেন। হাদিসের বিশেষ সনদ তিনি লাভ করেছিলেন তৎকালীন বিখ্যাত মুহাদ্দিস আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহ., আযীযুর রহমান উসমানী, হাবীবুর রহমান উসমানী, শাব্বীর আহমদ উসমানী এবং আসগর হুসাইনের মতো বিখ্যাত মনীষীগণ থেকে। তিনি দারুল উলুম দেওবন্দে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন আরম্ভ করেন। ১৯২৪ সালের শুরুতে দেওবন্দের নায়েবে মুহতামিম এবং ১৯২৯ সালে তাকে মুহতামিম করা হয়। তার আমলে দারুল উলূমে ব্যাপক উন্নতি হয়। মুসলিম ইউনিভার্সিটি আলীগড় এবং অন্যান্য ইউনিভার্সিটিসমূহে তার বয়ান ছিল বিশেষ সমাদৃত । তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যা শ’য়ের কাছাকাছি।