একজন সাধক পুরুষ বস্তুগত প্রাচুর্যের মধ্যে থাকিলেও তাহার মন সেই প্রাচুর্যের অধিকারী হইয়া থাকে না। তিনি থাকেন সকল মোহ হতে নির্লিপ্ত। এহেন মানুষের মনের শ্রেষ্ঠত্ব সমাজ উপলব্ধি করিতে পারে না বিধায় তাঁহাকে সৃষ্টিকর্তার প্রতিনিধিরূপে গ্রহণ করিতে আশ্চর্যবোধ করে। এই কারণে আনুগত্য প্রকাশ করা বা নিবেদিত, সমর্পিত হওয়ার জন্য ঐরূপ মহাপুরুষের নিকট চরণ বন্দী হওয়ার জবানবন্দি লেখক তার- সেই উপলব্ধি তুলে ধরার প্রয়াশ করেছেন। মোঃ আবদুর রাজ্জাক সাহেব এর "চরণ বন্দীর জবানবন্দি" বইখানি তার হৃদয়ের প্রাণপুরুষ মুর্শিদের প্রতি আত্ম নিবেদন অপূর্ব রূপে কাব্যিক ভাষায় বাত্ময় হয়ে প্রকাশ পেয়েছে। লেখক বিষয়ভিত্তিক কিছু কাব্য এখানে নিজের স্টাইলে প্রকাশ করেছেন। লেখক এর এই স্টাইল সাধারণ পাঠকের কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত হতে পারে, এমনকি এর বিষয়বস্তু অনেকের কাছে সম্পূর্ণ নতুন এবং মতের বৈপরীত্য হতে পারে। কেননা মানুষের চিন্তা ধারা প্রত্যেক ব্যক্তির সাথে মিলবে না। একে আমরা ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রকাশ বলতে পারি। প যদিও আধুনিক গণতন্ত্র ব্যক্তির স্বাধীনতা স্বীকার করে এবং ব্যক্তি মতামতের প্রকাশ এর স্বাধীনতা স্বীকার করে, তবুও আমরা দেখি বিভিন্ন সময়ে ও বিশ্বাস ভিন্নতার কারণে চরমপন্থীগন অন্যের স্বাধীনতা হরণ করে থাকেন। তাই এই বইটির বিষয়বস্তু অনেকেরই বোধগম্যের বাইরে থাকবে বলে মনে হয়। যাহোক আমরা মনে করি বিষয়বস্তু বহু পাঠকের মনে নতুন এক দিগন্তের সূচনা করবে। আশা করি পাঠকগণ পাঠক্রমে উপকৃত হবেন। গ্রন্থটি প্রকাশকালে আমাকে যারা সাহায্য করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং এর পরেও যদি কোনো ত্রুটি থাকে তার জন্য সকলের সাহায্যপ্রার্থী। সকল পাঠকের প্রতি শুভেচ্ছা রইল।